১৬ নম্বর জাতীয় সড়কেরপাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত সিদ্ধা বাজারে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা!

নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ৯ আগষ্ট রাত্রি ৮ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের(মুম্বাই রোডে)কোলাঘাট থেকে মেচগ্রাম অভিমুখে ষোলো চাকার একটি লরি পাঁশকুড়া থানার অন্তর্গত সিদ্ধা বাজার সংলগ্ন চার মাথার মোড়ে চারটি দোকানের উপর সজোরে ধাক্কা মেরে উঠে যায়। ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যায়। শেখ মইবুল (বয়স-আনুমানিক ৪৭ বছর) ,সেক আনসার পাখিরা (বয়স-আনুমানিক ৫০ বছর),সেখ দুলাল(বয়স-আনুমানিক ৬৫ বছর) তিনজনেরই বাড়ি সিদ্ধা। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় প্রায় ১০ জন কম করে আহত হয়। যার মধ্যে তিনজনের আঘাত গুরুতর। এরা হলো মদন মাইতি,রেখা মাইতি বাড়ী সিদ্ধা,অসিত দাস বাড়ী দিগলাবাড়। এদের মধ্যে মদন মাইতি,অসিত দাস তমলুক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। রেখা মাইতি মেছেদার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে। তিনটি চা দোকান,একটি মিষ্টি দোকান একেবারে মাটির সাথে মিশে গিয়েছে।

ঘটনার পরপরই ওই রাস্তা প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কাগজ বোঝাই গাড়ীটির কাগজের প্যাকেট খালাস করলে একটি বড় ক্রেন গাড়িটিকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। ড্রাইভার এবং হেলপার বেঁচে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ওই মোড়ে যে সিভিক ভলেন্টিয়ার দায়িত্বে ছিল,রাত্রি আটটার সময় গার্ড রেল সরিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার অব্যবহিত পরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।নাগরিক সুরক্ষা কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্য করা যায় দুর্ঘটনাস্থলের চারিদিকে লরিতে থাকা কাগজের প্যাকেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। গোটা এলাকা শোকস্তব্দ। স্থানীয়দের অভিযোগ,জনবহুল এই স্থানে আরো একটু রাত করে সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন থাকলে,হয়তো এই ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেত। নারায়নবাবু জানান,আজই আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট অন্তত রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন সহ বাজারের চার মাথায় মোড়ে সিগন্যাল সিস্টেম চালুর দাবীতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই স্মারকলিপিতে নিহতদের ২ লক্ষ,গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ,সামান্য আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবী জানানো হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত '৮৯ সালে এই বাজারেই কলকাতাগামী রাস্তায় অনুরূপভাবে একটি গাড়ি দোকানে ঢুকে গেলে ঘটনাস্থলেই ৬ জন মারা গিয়েছিল।