২০০৩-এর বদলা নিক রোহিতরা, চান সৌরভ!
নিজস্ব প্রতিবেদন : মেগা ফাইনালের আগে ম্যাচ সম্প্রচারকারীকে সৌরভ বলেন, "সেই সময় অস্ট্রেলিয়া দলটা সত্যি অপ্রতিরোধ্য ছিল। স্টিভ ওয়া ও রিকি পন্টিং-এর দলের সব বিভাগে ছিল একাধিক ম্যাচ উইনার। তাই এমন একটা দলকে হারাতে পারলে, ভালো পারফর্ম করতে পারলে, রান করলে, উইকেট নিলে, সর্বোপরি ওদের হারাতে পারলে আলাদা একটা তৃপ্তি পেতাম। আমার ধারণা সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক সিরিজ খেলার জন্যই ২০০১ সালের সিরিজ আমরা জিততে পেরেছিলাম। সেবার মুম্বইতে প্রথম টেস্ট হেরে গেলেও, পরপর কলকাতা ও চেন্নাই টেস্ট জিতেছিলাম।" বিশ্বজয়ের উষ্ণীষ অজেয় রয়ে গিয়েছে তাঁর ক্রিকেট-জয়যাত্রায়। অথচ ২০১১-তে মহেন্দ্র সিং ধোনি যা পেরেছেন, আজকের রোহিত শর্মা যে ভাগ্যোদয়ের দ্বারপ্রান্তে, একদিন তিনি এবং তাঁর হাতে বিনির্মিত টিম ইন্ডিয়াও পেয়েছিল সেই সুযোগ। সে ‘বছর কুড়ি আগে’র এক ধূসর, মনখারাপের ফাইনাল। ঠোঁট আর কাপের মধ্যে যে দূরত্ব, সেই আক্ষেপটুকু নিয়ে তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছিল জোহানেসবার্গ থেকে। অথচ ইতিহাস গড়ার সোনালি সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। দরকার ছিল এক অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়াকে বশ্যতায় আনা। হাতছানি ছিল উদ্ধত ক্রিকেট শাসককে ধূলিধূসর রণভূমিতে আছড়ে ফেলে বিজয়গাথা রচনা করার। হয়নি। ২০০৩ একরাশ যন্ত্রণা উপহার দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। তাঁকেও। তিনিই তো ছিলেন স্বপ্নের কারিগর। স্বপ্নের সওদাগর।