দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার ২১শে এপ্রিল সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জঙ্গল মহলের মানুষের মুখে হাসি ফোটালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার ২১শে এপ্রিল সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জঙ্গল মহলের মানুষের মুখে হাসি ফোটালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাসের মধ্য দিয়ে এক নতুন শুভ। সূচনা হল মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। সোমবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী জিন্দাল প্যান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্পের শিলান‍্যাসে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী, ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব, মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া, সজ্জন জিন্দাল,জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার,বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা,সাংসদ জুন মালিয়া,বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বিধায়ক সুজয় হাজরা,পরিবেশনমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া,বিধায়ক দীনেন রায়,বিধায়ক শিউলি সাহা, বিধায়ক অজিত মাইতি, প্রতিভা মাইতি, জিন্দল গোষ্ঠীর শীর্ষকর্তারাকে পাশে নিয়ে এই ঐতিহাসিক প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হাত ধরেই বিপুল কর্মসংস্থান বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রকল্পের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে বেছে নেওয়ার জন্য জিন্দাল গোষ্ঠীকে ধন্যবাদ রাজ্যবাসী। এর আগে এখানে জিন্দাল তাদের সিমেন্টের কারখানা ছিল, এবার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠবে। জিন্দাল গোষ্ঠীর এই বিনিয়োগ শুধু যে কর্মসংস্থান তৈরি করবে না, সব দিক দিয়ে এলাকার উন্নয়ন পরিবর্তন হবে। এক কথায় বলা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর থেকেই উন্নয়ন ধারা এগিয়েছে ।আগামী ৫ বছরের মধ্যে মেদিনীপুরের শালবনির চেহারা পুরো পালটে যাবে। ব্যাপক পরিবর্তন হবে জানান মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৬ হাজার মেগাওয়াটের এই দুটি প্রকল্প এই নয়া দিগন্ত উন্মোচন করা হলো। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর, জঙ্গলমহল নয়, রাজ্যের ২৩টি জেলার বাসিন্দারা উপকৃত হবে।মঞ্চ থেকে বাম জমানাকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা সময় বলা হত, "লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার।" কিন্তু এখন সেই দিন আর নেই। ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ পরিষেবা পায় মানুষ। আরও দুটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে। ফলে লোডশেডিংয়ের সমস্যা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। আর এই জিন্দাল গোষ্ঠীর প্রকল্পের কে সাধুবাদ জানাই জেলা বাসি।