৩৭তম বিষ্ণুপুর মেলার র‍্যাম্পে হাঁটলেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি!

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদাতা : বিষ্ণুপুর মেলা রাজ্যের মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় মেলা। বড়দিনে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন পরিচালিত ৩৭তম বিষ্ণুপুর মেলার আদিবাসী ফ্যাশন শোয়ে অন্যদের সঙ্গে পা মেলালেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রীকে। শুধু তা-ই নয়, ক্যানসারের মতো রোগ নিয়ে সচেতনতায় নৃত্যপরিবেশও করেন তিনি। ব়্যাম্পে হাঁটার পাশাপাশি নৃত্য পরিবেশনও করেন জ্যোৎস্না। নাচের মাধ্যমে ক্যানসার নিয়ে সচেতনতার বার্তা দেন তিনি। প্রথমবার জীবনে এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী জ্যোৎস্না। বেজায় খুশি তিনি। বলেন,”আমরা তো সব সময়ই রাজনীতি করি, রাজনীতির রাস্তায় হাঁটি। র‌্যাম্পে হেঁটে ভালোই লাগছে। তবে র‌্যাম্প আর রাজনীতি রাস্তায় হাঁটা এক নয়। অনেক তফাৎ আছে।” মন্ত্রীকে ভিন্ন মেজাজে র‌্যাম্প শো-তে দেখে আপ্লুত স্থানীয়রা। সোমবার দুপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, খাদ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি প্রমুখ। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এদিন মঞ্চে গান করেন। তার তালে কয়েকশো ছাত্রী নাচ করেন এবং গলা মেলান।

মেলা কমিটির সচিব তথা বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চে বাইরের শিল্পীদের পাশাপাশি জেলার শিল্পীদেরও অনুষ্ঠান করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মেলায় বালুচরি, ডোকরা ও পোড়ামাটির শিল্পকর্ম স্টলেই তৈরি করা দেখতে পাওয়া যাবে।২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলা চলবে। চারটি মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। মোট ২৬৭টি সরকারি স্টল বসেছে। এখানে ৫০০-র বেশি হস্তশিল্পী তাঁদের শিল্পকর্ম নিয়ে বসেছেন। যামিনী রায়ের ছবির থিমে মেলা সেজে উঠেছে।