আগামী ৯ই জুলাই সারা ভারত জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট সফল করতে সোমবার মিছিল করল বামেরা খড়্গপুরে খরিদা থেকে নিমপুরা পর্যন্ত!
অপূর্ব মজুমদার : ৯ ই জুলাই সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক কর্মচারীদের সর্বভারতীয় ফেডারেশন যৌথভাবে। সংযুক্ত কিষান মোর্চা এই ধর্মঘট সমর্থন করেছে। সামিল হবে বামপন্থী ছাত্র যুব মহিলা শিক্ষক সহ অন্যান্য সংগঠনগুলো। ধর্মঘটের আহ্বায়করা জানিয়েছেন ২০২৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট হবে ভারতে ৯ ই জুলাই।দেশের শ্রমিক কর্মচারীদের উপর মালিক শ্রেণীর শোষণ কে বাধাহীন করার লক্ষ্যেই মোদী সরকার সংসদে চারটি শ্রমকোড পাশ করেছে, যদিও আন্দোলনের চাপে তা দেশে এখনো কার্যকর হয়নি। এই ধর্মঘটের অন্যতম দাবী হলো এই শ্রমকোড বাতিল করতে হবে। এটা একবার কার্যকর হলে কেড়ে নেওয়া হবে শ্রমিক কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার। থাকবেনা ন্যূনতম মজুরি, দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের নিয়ম। স্থায়ী কাজের ধারনা অবলুপ্ত হবে। সব কাজ হবে চুক্তি ভিত্তিক। নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রবর্তিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ১১১ নং ধারায় শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সম্মিলিত কার্যক্রমকে " সংগঠিত অপরাধ " হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই ধারা বাতিলের দাবি করা হয়েছে। মোদীর " কৃষি বিপণন সংক্রান্ত জাতীয় কাঠামো " বাতিলের দাবিতে সরব কৃষক ও ক্ষেতমজুরেরা। দাবি করা হয়েছে রেগার কাজ বাড়িয়ে বছরে ২০০ দিন করতে হবে ও দৈনিক মজুরি ৬০০ টাকা করতে হবে। দেশে ধনী দরিদ্র মানুষের মধ্যে বৈষম্য বেড়েছে। ১ শতাংশ মানুষ দেশের ৫৪ শতাংশ সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে। ৮০ কোটি মানুষকে রেশন দিতে হয় কেন? ৪০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্হান একদম তলার দিকে। এহেন অবস্থায় আরও অনেক দাবি নিয়ে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এই ধর্মঘটের সমর্থনে গত ৬ ই জুলাই প্রবল বৃষ্টির মধ্যে খড়্গপুরে খরিদা থেকে নিমপুরা পর্যন্ত মিছিল হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক মধুসূদন রায়, সোমনাথ রায়, সুমিত ব্যানার্জী, জয়দীপ চক্রবর্তী, নান্টু দাস প্রমূখ।