ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আয়োজিত হয়েছিল একটি বিশেষ বৈঠক!

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : বৃহস্পতিবার দুপুর ২-৩০ নাগাদ ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি বিশেষ বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌমশংকর সারেঙ্গী, ঘাটালের এসডিও সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডাঃ মহেশ্বর মান্ডি, ঘাটাল মহকুমার পি ডাব্লু ডি ( ডিক্রি) সিভিল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারগণ, ঘাটাল পৌরসভার চেয়াম্যান তুহিনকান্তি বেরা, ঘাটাল লোকসভার সাংসদ দীপক অধিকারীর প্রতিনিধি রামপদ মান্না এবং বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকগণ। এই বৈঠকে হাসপাতালের সামগ্রি্ক বিষয়ে আলোচনা হয়। সামনেই ডেঙ্গুর মরসুম, এই সময় সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জ্বর হলেই যেন ব্লাড টেস্ট করানো হয় সেটার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ঘাটাল হাসপাতালে বৃষ্টি হলেই ওয়াটার লগিং হয়, জল জমে যায়, সেই জল পাম্প বসিয়ে পরিস্কার করতে হয়। এই সমস্যা যাতে পাকাপাকি ভাবে দূর করা যায় সেইজন্য কিছু লক গেট বসানোর প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। আগামী সপ্তাহে পিডাব্লুডি এবং পিএইচই এর জেলা পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি ইন্সপেকশন হবে এবং তার স্থায়ী সমাদাহানের প্লান গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে ৬ লাখ টাকার একোটি এস্টিমেট করা হয়েছে। সেই টাকা যাতে দ্রুত বরাদ্দ হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দ্রুতই কাজ শুরু হবে এই টাকা দিয়ে। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কটি আধুনিকীকরণের একটা প্রস্তাব দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। আনন্দের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে সেই টাকা বরাদ্দ হয়েছে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে সেই টাকা অনুমোদন হয়েছে এবং পিডাব্লু ডি এর সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল দপ্তরের মাধ্যমে সেই কাজের টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সিভিল পার্টের জন্য ৩৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৪০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং ইলেক্ট্রিক এর কাজের জন্য ১৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৯৪৩ টাকা অনুমোদন হয়েছে। এই কাজ দ্রুতই শুরু হবে। এটি হয়ে গেলে ঘাটাল ব্লাড ব্যাঙ্কের লাইসেন্স নবায়িত হবে এবং এর পর ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেটর বসানর প্রয়াস নেওয়া হবে।হাসপাতাল চত্তর পরিস্কার রাখার জন্য ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং তা চালু রয়েছে। কিছু হাইমাস্ট লাইট নষ্ট হয়েছে হাসপাতাল চত্তরে। সেগুলি চেয়ারম্যান সারিয়ে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন।হাসপাতালের পরিসেবার মান যাতে আরও ভাল করা যায় সেই বিষয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সকল ডাক্তারবাবুদের বলেন।