আজ গান্ধী জয়ন্তী, গোটা বিশ্বেই আজ অহিংসা দিবস!

নিজস্ব প্রতিবেদন : গান্ধীজির জন্ম ২ অক্টোবর, ১৮৬৯ সালে। আজ ‘জাতির জনক’ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী। ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকার জন্য তিনি পরিচিত। আমরা তাঁকে আদর করে 'বাপু' বলে ডাকি। তিনি তার ‘অহিংসা’র শক্তিশালী নীতি ব্যবহার করে ভারতের স্বাধীনতার জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। শুধু ভারতেই নয় সারা বিশ্বে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তিনি তো কেবল ভারতের 'জাতির জনক' নন। গোটা বিশ্বের কাছে পরম পূজনীয় এক মনীষী। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর জন্ম। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ৭৮ বছর বয়সে আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি মানবতা, শান্তি এবং অহিংসার বাণী প্রচার করে গিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অহিংস পথে লড়াই করেছেন বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে। ভারতে ফিরে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বাধীনতা সংগ্রামে। অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের তিনিই স্রষ্টা। তাঁর ডাকে উদ্বেলিত হয়েছিলেন কোটি কোটি ভারতবাসী৷ তিনি হয়ে উঠেছিলেন আপামর জনতার প্রিয় 'গান্ধীবাবা'।ভারতের ইতিহাস মহাত্মাকে বাদ দিয়ে লেখা যায় না। আজীবন তিনি ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ, জাতিভেদ প্রথা, শোষণ এবং হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর স্বপ্বের ভারত হয়তো এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি, কিন্তু গোটা বিশ্বের মানবতাবাদী মনীষার কাছে তিনি চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস।গোটা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদা, পরম শ্রদ্ধায় পালিত হয় গান্ধী জয়ন্তী।গান্ধী জয়ন্তী আমাদের শান্তি ও অহিংসার নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রতি বছর তাঁর জন্মবার্ষিকীতে, আমরা ভারতকে স্বাধীন করার জন্য গান্ধীজির প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করি। তিনি দীর্ঘ সংগ্রাম করেছিলেন যাতে ভারতের মানুষ একটি স্বাধীন দেশে বাস করতে পারে। সত্য ও অহিংসার প্রতি তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল।