মেদিনীপুর পৌরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে বসবাসকারী আনুমানিক ২৫০০ গ্রাহক অসুবিধার সম্মুখীন!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : সরকারি বাড়ি পাওয়ার জন্য নিজেদের বাড়ি ভেঙে ফেলে বিপাকে মমতা পূর্ণিমারা। তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে বর্তমানে সরকারি স্কুলঘরে। হাউস ফর অল প্রকল্পের সরকারি বাড়ির জন্য উপভোক্তাদের বাড়ি ভাঙার পর এক বছর কেটে গেলেও আজও সম্পন্ন হলো না বাড়ি তৈরীর কাজ। মেদিনীপুর পৌরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের প্রায় ২৫০০ উপভোক্তা পড়েছেন বিপাকে। তাদের মধ্যে দুটি পরিবারের, বাড়ি হারিয়ে বর্তমানে ঠাঁই হয়েছে সরকারি স্কুলে। কারন আর্থিক সংকটের ফলে ভাড়া বাড়িতে থাকাও সম্ভব হয়ে উঠেনি এই পরিবারের। তাই প্রায় ১০/১১ মাস ধরে ছেলেমেয়েদের নিয়ে মমতা ও পূর্ণিমা সরকার বসবাস করছেন ১৯ নং ওয়ার্ডের কুন্দরানী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলের বারান্দায় চলে রান্নাবান্না তো ক্লাসরুমে ঘুমোতে হয় পরিবারের সকলকে। কষ্টের মধ্যেই করতে হচ্ছে বসবাস, কবে সম্পূর্ন হবে হাউস ফর অল এর সরকারি বাড়ি, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। পরিবার গুলির কাতর আবেদন, দ্রুত তাদের প্রাপ্য বাড়ি সরকার তৈরী করে দিলে তারা ফিরতে পারবেন নিজের বাড়িতে।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে জানুয়ারী মাসে হাউস ফর অল প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য উপভোক্তাদের পুরানো বাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য বলা হয় পৌরসভার পক্ষ থেকে।সেইমতো মেদিনীপুর পৌরসভার অন্তর্গত ২৫ টি ওয়ার্ডের প্রায় ২৫০০ উপভোক্তা তাদের পুরানো বাড়ি ভেঙে ফেলে। অভিযোগ, তারপর এক বছর কেটে গেলেও আজও তৈরি হলো না একটিও বাড়ি। অধিকাংশ উপভোক্তা পরিবার নিয়ে ঠাই নিয়েছে ভাড়া বাড়িতে নাহলে আত্মীয়-স্বজনের ঘরে।অন্যদিকে মেদিনীপুর পৌরসভার সিআইসি ও কাউন্সিলার সৌরভ বসু বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে, যার ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ মাঝপথেই থমকে গেছে। যার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গোটা রাজ্যের মানুষদের। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভা আলোচনা সাপেক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।