ঘাটাল মহকুমাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য অগ্রিম ব্যবস্থাপনার!

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা :  ১৮ই জুন, ঘাটাল মহকুমার মহকুমা শাসকের অফিসে, মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আগাম ব্যবস্থাপনার বৈঠক হলো।বৈঠকে ছিলেন মহকুমার বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। এই বিষয়ে মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশাসন এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে।এসডিও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেন।তিনি ২০২১ সালে বন্যা পরিস্থিতির বিস্তারিত তথ্য সহ বলেন।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কি কি ব্যবস্থা আগাম প্রয়োজন সেই বিষয়ে মহাকুমা শাসক বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং নির্দেশ দেন।

১)বাঁধ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ,ইরিগেশন দপ্তরে, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২)বালির বস্তা, বাঁশ ,যথেষ্ট পরিমাণ বালি এবং বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী মজুত রাখা, হরিসিংপুর বাঁধ এবং এক্স জমিনদারি বাঁধ গুলি এখন থেকে রক্ষণাবেক্ষণের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
৩) ভেটেরিনারি দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশু পাখিদের খাদ্য এবং ওষুধ যাতে এখন থেকে মজুত রাখা হয়।
৪)পশুপাখিদের ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি যেন চালিয়ে যাওয়া হয়।
পি এইচ ই কে বলা হয়েছে পাউচ ভেন্ডিং মেশিন এর সাহায্যে প্রয়োজনে পানীয় জলের পরিকাঠামো এখন থেকে তৈরি করে রাখতে।
৫)বর্ষা আসার আগে এবং পরে টিউবওয়েল, পুকুর, কুঁয়ো গুলিকে পরিশুদ্ধকরন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৬)বিদ্যুৎ দপ্তরকে বলা হয়েছে, বন্যা প্রবণ এলাকাতে হাইটেনশন লাইন ওপরের দিকে যথেষ্ট দূরত্বে তুলে দেওয়ার জন্য।
৭)কিউআরটি টিম যেন প্রস্তুত থাকে।
৮)কৃষি দপ্তরকে বলা হয়েছে ধানের বীজ যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে।
ফুড সাপ্লাই দপ্তরকে বলা হয়েছে শুকনো খাবার যেন প্রস্তুত থাকে।
৯) শিশু খাদ্য যেন পর্যাপ্ত থাকে।
সমস্ত ডিলারদের যেন নির্দেশ দেয়া হয় পর্যাপ্ত কেরোসিন তেল মজত রাখার জন্য।
১০) বৈঠকে সিদ্ধান্তর মধ্যে বলা হয়েছে ,সমস্ত রেসকিউ শেল্টার গুলি পর্যবেক্ষণ এবং প্রস্তুত রাখতে হবে।

যে সমস্ত কাজগুলি এখনও বাকি আছে তা দ্রুত গতিতে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক। নৌকার মালিক, জেসিপি মালিক, শুকনো খাবারের দোকানদারদের তালিকা প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে।