খড়্গপুর শহরের ১০১-তম রাবণ পোড়া উৎসব!
অরিন্দম চক্রবর্তী : দশমী অর্থাৎ দশেরা ৷ তিথি অনুযায়ী রাবণকে বধ করেছিলেন রাম ৷ কথিত আছে, লঙ্কায় রাক্ষসরাজকে বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি ৷ শুভ শক্তির জয় হয়েছিল ৷ তাই দেবী আরাধনার শেষ দিনটি বিজয়া দশমী বা 'দশেরা' নামে পরিচিত ৷ ২রা অক্টোবর বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের ১০১-তম রাবণ পোড়া উৎসব পালিত হলো। খড়গপুর শহরের নিউ সেটেলমেন্টে রাবণ পোড়া ময়দানে এই দশেরা উৎসব দেখতে বহু মানুষের ভিড় হয়। দশেরা উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি প্রদীপ সরকার জানান, দশেরা উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে রাবণ পোড়া অনুষ্ঠান পালন করা হলো।
এই বছর রাবণের উচ্চতা ৬২ ফুট। এই বছরের আকর্ষণ হচ্ছে হায়দ্রাবাদের আতশবাজি। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ সিংহ, পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি, মহকুমা শাসক পাতিল যোগেশ অশোক রাও, খড়গপুর পৌরসভার চেয়ারপারসন কল্যাণী ঘোষ, খড়্গপুর বইমেলা কমিটির সম্পাদক দেবাশীষ চৌধুরী,খড়্গপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপক কুমার দাশগুপ্ত সহ সমস্ত কাউন্সিলররা ও অন্যান্য অতিথি এবং শহরের ব্যবসায়ীগণ।
রাবণ তৈরি করে আজাদ বয়েজ ক্লাব এর সদস্যরা। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে বিজয়া দশমীর দিন রীতি মেনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরে দশেরা উৎসব পালিত হলো।