ফের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনে ছত্রাক মেলার অভিযোগ!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনে লাইনে ছত্রাক মেলার অভিযোগ। এবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান থেকে কেনা স্যালাইনে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি রোগীর পরিজনদের। বৃহস্পতিবার ১৬ই জানুযারী দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। এব্যাপারে হাসপাতালের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ছত্রাক সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারে গত শুক্রবার এক প্রসূতির মৃত্যুর পর থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে দিতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। বৃহস্পতিবার তেমনই এক রোগীর আত্মীয়কে ৬টি আলাদা আলাদা ধরণের স্যালাইন কিনে আনতে বলেন চিকিৎসক। তার মধ্যে ২টি ছিল রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন। স্যালাইন কিনতে হাসপাতাল চত্বরের ভিতরেই ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে যান রোগীর পরিজনরা। সেখান থেকে প্রেসক্রিপশন মিলিয়ে ওষুধ কিনে ওয়ার্ডে দেন তাঁরা। অভিযোগ, ওয়ার্ডে রোগীকে রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন দিতে গিয়ে নার্স দেখেন বোতলের মধ্যে মধ্যে কিছু ভেসে বেড়াচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে রোগীর আত্মীয়দের সেকথা জানান তিনি। এর পরই স্যালাইনের বোতল হাতে বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনরা।রোগীর পরিজনরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে কেনা স্যালাইনেও ছত্রাক ধরা পড়ছে। এই স্যালাইন দিতে আমাদের রোগীরও মামণি রুইদাসের মতো পরিণতি হতে পারত। নার্সের চোখে পড়েছে তাই এযাত্রায় রক্ষা আমাদের রুগী পেল। আমরা এর সুবিচার চাই। এভাবে মানুষের প্রাণ নিয়ে ছেলে খেলা চলে না।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে যে বোতল নিতে বিতর্ক তার নির্মাতা নিষিদ্ধ সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল নয়। তাতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল ছাড়াও অন্য সংস্থা নিম্নমানের স্যালাইন বানিয়ে সরবরাহ করছে হাসপাতালে?