পুলিশ প্রশাসনে নির্দেশে নির্দোষকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো কিভাবে বলে অভিযোগ?

নিজস্ব সংবাদদাতা : একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করার অভিযোগ। দেখা যাক কী হয়েছিল!গত ১১ই আগস্ট সোমবার খড়্গপুরে গিরি ময়দান স্টেশন সংলগ্ন জগন্নাথ মন্দিরের সামনে একাধিক পুলিশ কর্মীকে নিয়ে চলছিল নাকা চেকিং। সেই সময় ট্রাফিক ওসি একটি টাটা ৪০৭ গাড়িতে আটক করেন এবং তার কাছ থেকে ৪০০ টাকা জরিমানা করে। সেই সময় গাড়ি চালকের কাছে টাকা ছিল না। সেই সময়ে খড়গপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপক কুমার দাশগুপ্তের আত্মীয় সেখান থেকে যাচ্ছিলেন।মনে হয় গাড়ি চালক ব্যাক্তিটি কে চেনেন। গাড়ি চালক তাকে ডাকেন এবং বলেন আপনি আমাকে ৪০০ টাকা দেবেন,আমি বাড়ি গিয়ে আপনাকে ওই টাকা দিয়ে দেব। না হলে গাড়িটি ছাড়বেনা পুলিশ। সেই সময় দীপক বাবুর আত্মীয় ওই গাড়ি চালককে ৪০০ টাকা দেন। ট্রাফিক ওসি ৪০০ টাকা নিয়ে সেই টাটা ৪০৭ গাড়িটিকে ছেড়ে দেন। দীপক কুমার দাশগুপ্তের আত্মীয় খড়্গপুরে ট্রাফিক ওসির থেকে ৪০০ টাকার রশিদ চান, কিন্তু তিনি বলেন টাকার রশিদ দেওয়া যাবে না, এই নিয়ে ট্রাফিক ওসির সাথে বসচা বাঁধে। ট্রাফিক ওসি তিনি সেখান থেকে আইসি খড়্গপুরে টাউনবাবু রাজীব পালকে ঘটনা জানান। রাজীব পাল নির্দেশ দেন ওকে ধরে এনে পুলিশ লক-আপ ঢুকিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ। ট্রাফিক উনার নির্দেশেই সকাল ১১ টার সময় থানায় নিয়ে গিয়ে তার নামে একটা কেস দিয়ে লক-আপে ঢুকিয়ে দেন। পরে দীপক বাবু জানতে পেরে থানায় যান এবং ট্রাফিক সঙ্গে কথা হয়। তিনি সমস্ত ব্যাপারটি দীপক বাবুকে বলেন। তখনই দীপক কুমার দাশগুপ্ত টাউন থানার গিয়ে জানতে পারেন তার আত্মীয় এমন কোন দোষ করেননি যে তাকে লক-আপ ঢুকিয়ে রাখতে হয়েছে। তারপর দীপক কুমার দাশগুপ্ত টাউন অফিসার পুরুষোত্তম পান্ডের সাথে দেখা করে এবং টাউন অফিসার পুরুষোত্তম পান্ডে দীপক কুমার দাশগুপ্তকে সহযোগিতা করেন। তিনি তার আত্মীয়ের সাথে কথা বলেন এবং রাত ১২ টায় জামিনে মুক্তি পান। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, দীপক বাবুর আত্মীয়ের অপরাধ কোথায়? খড়গপুরের ওসি ট্রাফিক এবং আইসি টাউনের নির্দেশে তিনি কীভাবে তাকে লকআপে রেখে ১২ ঘন্টা পরে জামিন দিলেন? কোন আইনে তিনি এমন মামলা দায়ের করলেন, এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।