নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্ষেপে গেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই স্বপন সামন্ত!

নিজস্ব সংবাদদাতা : নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জানিয়েছিলেন সমাজসেবী দীপককুমার দাশগুপ্ত। জেলা শাসকের নির্দেশে স্কুল শিক্ষা দফতর ২০২৪ সালের ৩মে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই স্বপন সামন্ত খড়গপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপককুমার দাশগুপ্তকে একটি চিঠি দেন।ঐ চিঠিতে তিনি দীপকবাবুর জেলা শাসকের গ্রিভ্যান্স সেলে লেখা একটি চিঠির উল্লেখ করেন (মেমো নং ২৪৪/পিজি ,পি- ১৬২/২১)।এই চিঠি হোয়াটস অ্যাপ মারফত দীপকবাবু গ্রিভ্যান্স সেলে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর পাঠিয়েছিলেন। নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠের তদানীন্তন প্রধান শিক্ষক চন্ডীচরণ ত্রিপাঠী আইনী নোটিশ পাঠিয়ে স্কুলের সম্মানহানী বাবদ দীপকবাবুর কাছে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। চন্ডীচরণবাবু হাতিয়ার করেছিলেন ডিআইয়ের পাঠানো তদন্তকারী দলের প্রাথমিক রিপোর্ট। এই রিপোর্টে তাঁকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে, এই ভুয়া প্রচার করে তিনি জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিলেন। এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দাবি করে তিনি দীপকবাবুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁর কাছে কোনো তথ্য প্রমাণ ছিল না। ফলে চন্ডীচরণ ত্রিপাঠী নিম্ন আদালতে হেরে যান। কিন্তু একজন প্রধান শিক্ষক স্কুল শিক্ষা দফতরের তদন্ত রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এক কোটি টাকা দাবি করলেও এবং সেই বিষয়টি ডিআইয়ের নজরে আনলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, উলটে দীপকবাবুর পাঠানো প্রশ্নের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। নানাভাবে দীপকবাবুকে বিভ্রান্ত করেছেন।

কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক যে আরটিআই রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন (MEMO No988/1/RTI/2024) তার রিপোর্ট কিন্তু নেই । আর একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের শিক্ষা দফতরের DI MEMO letter স্বাক্ষর করেছেন ০৬ই মে ২০২৫ আর চিঠি পোস্ট হয়েছে তার ১৫ দিন পরে ২১শে মে ২০২৫ । উলটে ডিআই প্রধান শিক্ষকের অবসর নেওয়ার দিন যাবতীয় নিয়ম নীতিকে উড়িয়ে দিয়ে অবসরের দিনই চন্ডীচরণবাবুকে যাবতীয় অবসরকালীন সুযোগ সুবিধে পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ। তারপরেও চন্ডীচরণবাবুর বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষা দফতর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল না কেন?

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর তাই নিয়ে প্রশ্ন করতেই ক্ষেপে গেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই স্বপন সামন্ত। এআই পার্থ সারথী সিনহা বলেন, এই অভিযোগ নিয়ে যারা সংবাদটি হাইলাইট করছে তারা না কি অর্থপ্রদানকারী (পেড) সংবাদমাধ্যম। শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপককুমার দাশগুপ্ত বলেন, এই দুর্নীতি শেষ করেই তিনি ছাড়বেন।

শিক্ষা দফতরের ভুরি ভুরি দুর্নীতি নিয়ে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের মানুষের ও মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলা সত্ত্বেও শিক্ষা দফতরের লোকেরা কোনো কথাই শুনছেন না। জেলাশাসকের নির্দেশকেও মানছেন না ডিআই। রাজ্যের মানুষ কি এই দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাবে না?