ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারা হল নিরপরাধ যুবককে!

ঢাকা, জাকির হোসেন : বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে (এমএইচ হল) তোফাজ্জল হোসেন নামে ৩০ বছর বয়সী এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত আবদুর রহমান। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে হলের গেস্টরুমে নিয়ে যায় ছাত্ররা। সেখানে দফায় দফায় তাঁকে মারধর করা হয়। এরপর তাঁকে ভাতও খেতে দেওয়া হয়৷ ভাত খাওয়া শেষ হলে পরে তোফাজ্জলকে আবারও নির্মমভাবে পেটানো হয়৷ অনুসন্ধান, হলের সিসিটিভি ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের বরাতে খবর, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছে ক্ষমতাচ্যুত শাসকদল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের ছাত্র মোত্তাকিন সাকিন। নির্যাতন করা ছাত্রদের সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের অন্তর্ভুক্ত ছাত্র। আরেকটি সূত্র জানায়, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সুলতান প্রথমে চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে ধরে গেস্টরুমে নিয়ে আসে৷ সূত্রটির তথ্যমতে, মারধরে আরও জড়িত ছিল মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের রাশেদ কামাল অনিক, গণিত বিভাগের রাব্বি এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল। এ ছাড়া সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি মারধরের ঘটনায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সেশনের ছাত্ররা জড়িয়েছে। এদের মধ্যে কারও ভূমিকা ছিল আক্রমণাত্বক, আবার কারও ছিল রক্ষণশীল। অতি উৎসাহ থেকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়। তখন সেখানে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। তারা তোফাজ্জলকে হালকা মারধর করে ক্যান্টিনে খাবার খাওয়াতে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে এক্সটেনশন বিল্ডিং-এর গেস্ট রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ৩০ জন ছাত্র ছিল৷ এদের মধ্যে ২০-২১ এবং ২১-২২ সেশনের ছাত্ররা তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছে৷ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, "গেস্ট রুমে তোফাজ্জলের হাত বেঁধেছে জালাল। সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাঁকে, মারতে মারতে ও (তোফাজ্জল) পড়ে গেছে। এরপরে পানি এনে তাঁকে পানি খাওয়ানো হলে সে উঠে বসে। তখন উপস্থিত সবাই হাততালি দেয়। সবাই খুশি হয় কারণ তাঁকে আবার মারতে পারবে। এরপর আবার শুরু হয় পেটানো। এই দফায়ও সবচেয়ে বেশি মেরেছে ফিরোজ। পরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের জালাল আসে। জালাল এসে আরও মারতে উৎসাহ দিয়ে বলে— ‘মার, আরও মার, ইচ্ছামতো মার, মাইরা ফেলিস না একবারে’। এসময় গ্যাস লাইট দিয়ে পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়। পরে সুমন এসে তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে দেয়।” ‘পরে তোফাজ্জলকে হলের মেইন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে জালাল প্রচুর মারে তাঁকে। বুট জুতা পরে এসে তোফাজ্জলের আঙ্গুল মাড়িয়ে ছেঁচে ফেলে। তখন এক শিক্ষার্থী জালালকে বলে, ‘ভাই এগুলো কি করেন? তা শুনে হেসে দেয় জালাল। তোফাজ্জলের গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়ে জোরে জোরে আঘাত করে জালাল। অনেক সিনিয়র ছাত্র এসে তাদের ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।’ নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ফজলুল হক মুসলিম হলের এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানান, ‘মারধরকারীরা চেষ্টা করছিল মারপিট করে তাঁর স্বীকারোক্তি নেবে যে চুরি হওয়া ফোন সেই নিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে দুই-তিনটা ফোন নম্বর দেয় তোফাজ্জল। সেই নম্বারে ফোন দিলে অপর পাশ থেকে জানানো হয় তোফাজ্জল মানসিক বিকারগ্রস্ত। কিন্তু ওরা (শিক্ষার্থীরা) বিশ্বাস করতে চায়নি। সেখানে আসা শিক্ষকদের সামনেও তোফাজ্জলকে পেটানো হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর প্রক্টরিয়াল টিম আসে। কিছু অভিযুক্তরা টিমের কাছে তোফাজ্জলকে দিতে চাচ্ছিল না। ২৫ মিনিট ধরে শিক্ষকরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্যারদের কথাও তারা মানেনি। পরে প্রক্টরিয়াল টিম বুঝতে পারে তোফাজ্জলের অবস্থা খুবই খারাপ। এত মারলে কেউ বাঁচতে পারে না। তার মাংসগুলো খসে পড়ে গেছে। তার গোপনাঙ্গে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। আঙুলগুলো পুরো ছেঁচে ফেলা হয়েছে। পরে অবস্থা খারাপ দেখে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয় জনের একটি দল তোফাজ্জলকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করলে গা-ঢাকা দিতে দ্রুত সটকে ওই ছাত্ররা।’ তোফাজ্জলের ফুফাতো বোন আসমা আক্তার তানিয়া বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার বাবাকে একজন ফোন দিয়ে বলেন, তোফাজ্জল চুরি করতে এসে ধরা পড়েছেন- এখন ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আমার বাবা তার কথা বুঝতে না পেরে আমাকে ওই নম্বরটি দেন। আমি ওই নম্বরে কল দিলে আমার কাছেও একই দাবি করেন। তখন আমি তাদের অনুরোধ করে বলি, তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন তাকে আপনারা মাইরেন না৷ তাঁকে সন্দেহ হলে থানা পুলিশের কাছে দিয়ে দিন। তারা আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচারের জন্য আদালতে যতদিন লড়তে হয় আমরা লড়বো। আশা করি, আমরা সঠিক বিচার পাবো।’ তোফাজ্জলের বাড়ির এলাকা পাথরঘাটা উপজেলার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন বলেন, ‘তোফাজ্জল পরিবারের সবাইকে হারিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে আমি ওঁর ভরণপোষণ দিয়ে আসছিলাম। তোফাজ্জলকে চিকিৎসার মাধ্যমে মোটামুটি সুস্থ করেছিলাম, ওঁকে আমার আপন ভাইয়ের মতো দেখতাম। তবে হঠাৎ আবার অসুস্থ হয়ে গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে থাকতো। তাঁর পরিচিত যারা ছিল তাঁকে খাবার কিনে দিতো। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তোফাজ্জল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে পড়লে রাত ন'টার দিকে একজন আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, তোফাজ্জলের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তোফাজ্জল হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বলে, ভাইয়া আমাকে বাঁচান। তখন আমি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলি। তারা বলেন, তোফাজ্জল ৭টা মোবাইল চুরি করছে, তার জরিমানা পাঠিয়ে দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের বলি, তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন, ওকে আপনারা মাইরেন না। তখন ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালিগালাজ শুরু করে বলে তুইও ওর সঙ্গে চুরি করছ, পরে আমি ফোন কেটে দিই। এরপর ছাত্ররা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড আমরা কীভাবে মেনে নেবো, আমরা দোষীদের বিচার চাই। এভাবে যেন আর কোনো তোফাজ্জলের জীবন দিতে না হয়।’ তোফাজ্জলের নিজ এলাকার প্রতিবেশী আরিফুজ্জামান ইমরান বলেন, ‘আমি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলের ছোট ভাই সাংবাদিক কবির কাননের ফেসবুক ওয়ালে তোফাজ্জলকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেখি, তাকে চোর সন্দেহে মুসলিম হলে আটক করেছে। দেখা মাত্রই কাননকে ফোন করে তোফাজ্জলের বিষয়ে জানাই, ও আমার এলাকার ছেলে, আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে জানি, বর্তমানে ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। হয়তো খাবারের সন্ধানে হলে গেছে। আমি কাননকে বলেছিলাম, তুমি ওখানে যাও- যারা ওরে আটকে রেখেছে তাদের সঙ্গে কথা বলো, তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন- যাতে তাকে শারীরিকভাবে টর্চার না করে।’ তিনি বলেন, ‘কানন কিছুক্ষণ পরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, ভাই ওরে আর কেউ টর্চার করবে না- তবে আপনি ওর কোন অভিভাবক পাঠান যার কাছে তাকে দিয়ে দেবে, আমি সেই ব্যবস্থা করতেছি। এরপর আমি আমাদের এলাকার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হলে পাঠাই তোফাজ্জলকে নিয়ে আসার জন্য- কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউকে ম্যানেজ করতে পারা যায়নি।’ আরিফুজ্জামান বলেন, ‘দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ফেসবুকে দেখি, তোফাজ্জল হলের শিক্ষার্থীদের নির্মম নির্যাতনে মারা গেছে।’ এই বিষয়ে আরিফুজ্জামান নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিহতের সম্পর্কে বিস্তারিত লেখেন৷ আরিফুজ্জামান ইমরান নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘প্রিয় তোফাজ্জল আর নেই। এই ছেলেটির নাম তোফাজ্জল। আমার জন্মস্থান বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার সন্তান। পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রথমে কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারায়। এর কিছুদিনের মধ্যে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে তোফাজ্জলের মা, বাবা ও একমাত্র বড় ভাই মারা যান। গত ৩/৪ বছরে তোফাজ্জল পরিবার ও অবিভাবকশূন্য হয়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। বিগত ২/৩ বছর তোফাজ্জল প্রায়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতো। আমাদের এলাকার যারা ওরে চিনতো সবাই সহযোগিতা করতো। ক্যাম্পাসে আমাকে দেখলেই দৌড়ে এসে কুশল বিনিময় করতো। আমি দেখা হলে তাকে খাবার খেতে বলতাম বা খাওয়ার জন্য টাকা দিতাম অথবা ও মাঝেমধ্যে চেয়ে নিত। খাবার ও টাকার বাইরে ওর তেমন চাহিদা ছিল না।’ ইমরান হতাশা প্রকাশ করে লেখেন, 'হয়তো আজকেও খাবারের জন্য ওই হলে গিয়েছিল সে৷ আহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! ছাত্র নামধারী বিবেকহীন এই নরপিশাচদের জন্য আজ একটি নিরপরাধ প্রাণ চলে গেল, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্কিত হলো। তোফাজ্জল হত্যার বিচার চাওয়ার মতো ওর পরিবারে অবশিষ্ট আর কেউ নেই। তবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচার নিশ্চিত করতে আইনি প্রক্রিয়ায় লড়ে যাবো।' উল্লেখ্য, হল সূত্রে জানা যায়, মূলত মুঠোফোন চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটে এ ঘটনা। দুপুরে হলের মাঠে ছাত্রদের মধ্যকার ক্রিকেট খেলা চলাকালীন কয়েকটা মুঠোফোন চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে খেলা চলাকালীন ৮টার দিকে তোফাজ্জল হলে ঢুকলে তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েকজন ছাত্র৷ তাদের ধারণা, তোফাজ্জলই মোবাইল চুরি করছে। কিন্তু তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন এবং সে চুরি করেনি -তা প্রমাণ হবার পরেও তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ওই বর্বর ছাত্ররা৷ এদিকে তোফাজ্জল হোসেনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুইজন হল— ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জালাল আহমেদ এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ সুমন। তারা দু'জনই ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। আটক অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের তিনজনকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রক্টরিয়াল টিম তিনজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছে। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। শাহবাগ থানার ওসি শাহাবুদ্দিন শাহীন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছে বলেও আশ্বস্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ৷ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারা হল নিরপরাধ যুবককে