আনন্দপুর–কেশপুরে দুর্গাপূজা কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদান প্রদান!
নিজস্ব সংবাদদাতা : আসন্ন দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে সরকারি সাহায্য পেলেন আনন্দপুর ও কেশপুর থানার একাধিক দুর্গাপূজা কমিটি। এদিন এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই অনুদান বিতরণ করা হয়।আনন্দপুর থানার মোট ৫৮টি পূজা কমিটির মধ্যে ৪৩টি কমিটি সরকারি আর্থিক সাহায্য পেয়েছে। পাশাপাশি কেশপুর থানার ৪৩টি পূজা কমিটির মধ্যে ৩৮ টিকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। উৎসবের আগে সরকারি এই সহযোগিতা পেয়ে খুশি উদ্যোক্তারা। তাঁদের মতে, এই অর্থসাহায্যের ফলে দুর্গোৎসবের আয়োজন আরও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দপুর থানার ওসি প্রদীপ সিংহ এবং কেশপুর থানার ওসি অমিত মুখার্জি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আনন্দপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন গড়াই, জনপ্রতিনিধি প্রদ্যুৎ পাঁজা, বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ আসিফ ইকবাল, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তমানন্দ ত্রিপাটি, দমকল বাহিনীর আধিকারিক এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পূজা উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
কেশপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড দূর্গা পূজা কমিটির সম্পাদক সফেদ আলী বলেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি। কেশপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ ঘোষ জানান, “প্রতিবছরই সরকারি সাহায্য আমাদের জন্য ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়ায়। এবারের অনুদান ও প্রশাসনিক সহায়তা আমাদের উৎসবের আয়োজনকে আরও নিরাপদ ও সুষ্ঠু করে তুলবে।আনন্দপুর ও কেশপুর জুড়ে ইতিমধ্যেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি সাহায্য ও প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে এবারের দুর্গোৎসব আরও বর্ণময় ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষ।পুলিশ প্রশাসনের তরফে এদিন জানানো হয়, ইভটিজিং, মাদক সেবন ও বাইকে বেপরোয়া চালানো রুখতে কড়া নজরদারি চালানো হবে। পূজা কমিটিগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো জরুরী।