সরকারি জমি বুঝিয়ে ফেলার অভিযোগের জায়গা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দখল নিল ব্লক প্রশাসন!

বাঁকুড়া  রঞ্জিত কুন্ডু : ডাঙ্গা জমি হয়ে গিয়েছিল নিচু জলাশয় সেই জমি ভরাট করার বিতর্কের মুখে পরে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই খবর সংবাদ মাধ্যমে দেখার পর সংগ্রহ করেন এই ছবিগুলি।পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে জলাশয় বোঝানোর অভিযোগ করেন এলাকার মানুষ। তবে ওই নিচু জমি বুঝিয়ে পঞ্চায়েতের সবজি বাজার করার পরিকল্পনা করে শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। আর জমি বুঝিয়ে ফেলার অভিযোগের তির উঠে শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে আঙুল তুলে স্থানীয় মানুষজন। তারা দাবি করেন সরকারি জমি দিনের পর দিন এইভাবে বেদখল হয়ে যাচ্ছে।কে বা কারা জমি ভরাট করছে এলাকার মানুষ কেউ জানে না কি কারনে নিচু জলাশয়টি বা জমিটি ভরাট করছে। তবে আমরা এই বিষয়ে খোঁজখবর নিলে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে জানতে পারা যায় এই জমিটি শ্রেণী আছে ডাঙ্গা কোন জলাশয় নয়। তবে পুরনো মোরাম খাদ ছিল তবে সামান্য পরিমাণে। বাকি জায়গাটি নিচু জমি যত্রতত্র আবর্জনার পাহাড় হয়ে পড়েছিল। দিনের পর দিন সরকারি জমি বে দখল হয়ে যাবার কারণে সেই জায়গা ভরাট করে মার্কেট করার পরিকল্পনা করে শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। আর সেই খবর চারিদিকে জানাজানি হতেই এই ভরাট নিয়ে এলাকায় হইচই পড়ে যেতেই অভিযোগের খবর ব্লক প্রশাসনের কানে পৌঁছতেই দ্রুত আসরে নামে ব্লক প্রশাসন।ওই জায়গায় দখল নিয়ে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে দিল ব্লক প্রশাসন। তবে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি ল্যান্ড ও ফুটপাত দখল নিয়ে মুখ খুলতেই নড়েচড়ে বসল যে ব্লক প্রশাসন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গতকাল বিকালে জয়পুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর এর টিম ও এডি এম এল আরও ঘটনাস্থল পরিদর্শন জান এবং সরকারি নামাকৃত বোর্ড লাগিয়ে দেন। তবে প্রশাসনের এই দ্রুত পদক্ষেপকে ধন্যবাদ জানান এলাকার মানুষ। এলাকার মানুষ এও দাবি করেন সরকারি জায়গা দখল করে পাকার কংক্রিট এর দোকান ঘর করে ব্যবসা করছেন এক শ্রেণীর মানুষ, তারা কিভাবে ভেস্ট ল্যান্ড এর উপর পাকার বাড়ি করে দোকান ঘরের পারমিশন পেল কিভাবে,কার কাছে নিল অনুমতি এবং ওই জায়গার উপর বৈদ্যুতিক পারমিশন কিভাবে পেল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গোপালনগর গ্রামের মানুষ।
তবে এই বিষয় নিয়ে এখনো কোনো ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্তব্য পাওয়া যায়নি। দেখা যাক আগামী দিনে ওই এলাকায় অনেক সরকারি খাস জমি জবরদখল করে রেখেছেন স্থানীয় কিছু এক শ্রেণীর মানুষ। সেই জায়গা গুলি পুনরুদ্ধার করতে পারে কিনা জয়পুর ব্লক প্রশাসন সেই দিকেই তাকিয়ে থাকব আমরা। সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানার এলাকার মানুষ।