বাংলাদেশে মন্দির ভাঙচুর,প্রতিবাদে সাহিত্যিক থেকে টলিউড পাড়া!
নিজস্ব সংবাদদাতা : সরকার বিরোধী আন্দোলনের আছিলায় বাংলাদেশে হামলা চলছে সংখ্যালঘুদের ওপরে। এমনই দাবি করল বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হল, সেদেশের ২৯টি জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙা হয়েছে মন্দির। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এক বিবৃতি জারি করে সোমবার দাবি করেন, বাংলাদেশে ৪টি জেলাতে অন্তত ৯টি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ঐক্য পরিষদের নেতাদের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে এক শ্রেণির বিক্ষোভকারী। বহু জায়গায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ফরিদপুরের ছবি শেয়ার করে এই ‘বীভৎসতা’র প্রতিবাদ করলেন ঋদ্ধি সেন। একই ছবি পোস্ট করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
ঋদ্ধি-পরমব্রতর শেয়ার করা ছবিতে একটি গেটের সামনে একদল তরুণকে দাঁড়িয়ে ও বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা, “ফরিদপুরে রামকৃষ্ণ মিশন রক্ষার্থে আমাদের চরকমলাপুর যুব সংঘ টিম পাহারায় রয়েছে। ইন-শা-আল্লাহ আমরা থাকতে পুরো ফরিদপুর শহরে কোন মন্দিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেব না।
এর সঙ্গেই ঋদ্ধির আর্জি, “যে লুন্ঠন, ধ্বংস আর ভুল ইতিহাসের পথে হাঁটার পরিস্থিতি চলছে বাংলাদেশে তা বন্ধ হোক। কিন্তু সেই বন্ধ করার পথে অপর দিক থেকে জবাব হিসেবে ঘৃণা দিয়ে সেই পথকে পুষ্ট করে তুলবেন না। ছাত্র আর মৌলবাদীদের এক করে দেবেন না, এই সময়টা সব থেকে কঠিন, যে সময় একটা সরু সুতোর ওপর হাঁটতে গিয়ে অধিকাংশই পড়ে যায় অন্ধকার ঘৃণার গহ্বরে।
এদিকে তসলিমা নাসরিন সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাহিত্যিক নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন হাসিনার পদত্যাগের পর, দেশ ছাড়ার পর দেশ জুড়ে জ্বালাও পোড়াও হচ্ছে কেন? ভাস্কর্য ভাঙ্গা হচ্ছে কেন? কেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বাচ্চারা ঘরে ফিরে যাচ্ছে না? কারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিচ্ছে?