অগ্নিদগ্ধ বাংলাদেশে বাড়ি,মন্দির, সরকারি দফতর পাহারায় মুসলিম যুব-ছাত্ররা ,স্লোগান উঠছে 'আমরা বাঙালি, সবাই ভাই ভাই'!

ঢাকা, জাকির হোসেন : সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। উন্মত্ত জনতা বঙ্গ ভবন থেকে সংসদ ভবন সব কিছুরই দখল নেয়। শুরু হয় লুটপাট, ভাঙচুর। ভাঙা হয় একের পর এক ভাস্কর্য। এরই মধ্যে নানা গুজবও ছড়াতে থাকে। যার অধিকাংশই সংখ্যালঘুদের নিয়ে। এমনকি কয়েকটি এলাকায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অভিযোগও উঠেছে। তারপরই কোথাও মাদ্রাসার ছাত্রেরা রাতভর আগলে রেখেছেন হিন্দু উপাসনালয়, কোথাও আবার রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান দরজা আটকে পাহারায় থেকেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দির ও সরকারি দফতর পাহারা দিয়েছেন মুসলিম যুবকরা। সংখ্যালঘু সুরক্ষায় লাঠি হাতে পাহারায় নেয়ামত, আকবর, আজিজুর সহ আরো অনেকে। যা অনন্য নজির রেখেছে অগ্নিদগ্ধ বাংলাদেশে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকী বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর যাতে আক্রমণ না হয়, সে বিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল তথা দেশবাসীকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন- সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সব হামলার ঘটনা ঘটছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বিশেষত সাম্প্রদায়িক আক্রমণের ঘটনা রুখে দিতে হবে কঠোর হাতে। এও বলেছেন, ‘‘ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলনের সাফল্য যাতে সুবিধাবাদী শক্তির হাতে না যায়, সে জন্য সবাইকে সংযমের পরিচয় দিতে হবে।’’ বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায় ,গাজীপুরে মন্দির-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সদস্যেরা। এমনকি মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজীপুর চত্বরের বিভিন্ন মন্দিরের প্রধান ফটক পাহারা দিচ্ছেন। ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর গাজীপুর শাখার সভাপতি এসএম ওয়াহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘‘দলের প্রধানের নির্দেশে সারা বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির পাহারা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বাঙালি, সবাই ভাই ভাই।’’ বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের বাড়ি কিংবা মন্দিরে হামলা রুখতে আমরা পাহারায় বসেছি। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন দফতরের সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সদস্যেরা। কেন্দ্র থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এই দায়িত্ব পালন করে যাব।’’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের উপর যেন কোনও আক্রমণ না হয়। তাঁদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’’