বাংলাদেশে হাসিনার 'বিদ্বেষমূলক বক্তব্য' প্রচারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা!
ঢাকা, জাকির হোসেন, ৫ ডিসেম্বর: ক্ষমতাচ্যুত হবার পর সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন শেখ হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলাদেশে গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড নাকি ইউনূসই’! এইবার বাংলাদেশে হাসিনার বক্তব্য ‘সেন্সর্ড’ হতে চলেছে৷ শেখ হাসিনার সব ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শুধু তাই নয়, এর আগে শেখ হাসিনার যে সমস্ত মন্তব্য ‘বিদ্বেষমূলক’ বলে মনে হবে সেগুলি বাংলাদেশের সমস্ত মাধ্যম থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছে এই ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। কিন্তু তিনি ন্যু ইয়র্কে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। সেখানেই গণহত্যা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য ঘটনার জন্য ইউনূসকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি! সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শেখ হাসিনার সাধারণ এবং রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলেই জানিয়েছে আদালত। বাংলাদেশের আদালতের পর্যবেক্ষণ, ঘৃণাভাষণ গোটা বিশ্বেই একটি অপরাধ। তাই তা বন্ধ করার জন্য এবং যেগুলি রয়েছে সেগুলি মুছে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল সব পক্ষের মন্তব্য শুনে তা মঞ্জুর করেছে।