স্বাধীনতার গান- "মাতৃবন্দনা-বন্দে মাতরম"
মৃদুল শ্রীমানী: আটত্রিশ বছর বয়সের সরকারি কর্মচারী। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। ১৮৭৬ সাল নাগাদ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ( ১৮৩৮ - ১৮৯৪) লিখে ফেললেন বন্দে মাতরম গানটি। শহরের নাম চুঁচুড়া। হুগলি জেলার প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র। সেখানেই তখন বঙ্কিমচন্দ্রের কাজ। শহরের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে পুণ্যস্রোতা গঙ্গা। পতিতোদ্ধারিণী গঙ্গে! অদ্ভুত এক ভাললাগার মধ্যে দিয়ে হৃদয় থেকে উৎসারিত হল বন্দে মাতরম। গান যে তিনি অত্যন্ত ভালবাসতেন। নিজে হতেও চেয়েছিলেন কবি। লিখেই মনে হল একটা অসাধারণ কিছু সৃষ্টি হয়েছে। যদুনাথ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিলেন গানটিতে সুর সংযোজনার। বছর ছয়েক পরে লিখলেন আনন্দমঠ। সেখানে গ্রথিত করলেন বন্দে মাতরম।তার চৌদ্দ বৎসর পরে ১৮৯৬ সালে কলকাতার বিডন স্কোয়ারে কংগ্রেসের জাতীয় অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গাইলেন বন্দে মাতরম। ততদিনে রচয়িতা প্রয়াত। তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ১৮৯৪ সালের আট এপ্রিল। গানটি সকলের মন কেড়েছিল। ১৯০১ সালে আবার কংগ্রেসের অধিবেশনে বন্দে মাতরম গাইলেন দক্ষিণাচরণ সেন। আবার ১৯০৫ সালে কংগ্রেসের বেনারস অধিবেশনে গাইলেন সরলা দেবী চৌধুরাণী, রবি ঠাকুরের প্রতিভাময়ী ভাগ্নী।হীরালাল সেন ১৯০৫ সালে ফিল্ম তৈরি করলেন একটি ফিল্ম। সেখানে মাতঙ্গিনী হাজরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী মিছিলে পুরোভাগে। মিছিলে ঘন ঘন ধ্বনি উঠছে বন্দে মাতরম। ওই একটি ধ্বনিতেই ভারতবাসীর সমস্ত ধিক্কার ব্রিটিশ সরকারের প্রতি বর্ষিত হয়। অত্যাচারীর দুর্গ কাঁপতে থাকে। তাই ব্রিটিশ প্রশাসন এই ধ্বনি তোলাটাকেই নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে মিছিলে ধ্বনি উঠছে বন্দে মাতরম। গুলি চলল মিছিলে। লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা, সর্বজনশ্রদ্ধেয় গান্ধিবুড়ি। মরণোন্মুখ তিনি, তবুও তখনও পতাকাটি যত্ন করে ধরে রেখেছেন। বলছেন, বন্দে মাতরম। সারাদেশে সমস্ত প্রতিবাদী স্বাধীনতাকামীর মর্মবেদনা প্রকাশিত হয় বন্দে মাতরম ধ্বনিতে।দেশের বাইরেও স্বাধীনতাকামী ভারতীয় বন্দে মাতরম মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ হতে চেয়েছে। ১৯০৭ সালে জার্মানির স্টুটগার্টে ভারতের পতাকা গড়লেন মাদাম ভিকাজি কামা। তার মধ্যে লিখলেন বন্দে মাতরম। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেতা লালা লাজপত রায় লাহোর থেকে বের করলেন জাতীয়তাবাদী কাগজ, নাম তার বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম হয়ে গেল একটি মন্ত্র। সেই মন্ত্রের স্রষ্টা হলেন ঋষি বঙ্কিম। সেই মন্ত্রেই দেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। আজ সেই মন্ত্রকে সফল করার দায়িত্ব আমাদেরও।
প্রেমহার হয় গাঁথা।আমাদের জাতীয় সঙ্গীত বন্দে মাতরম্ , এবং জাতীয় গাথা হল জনগণমনঅধিনায়ক গানটি।আমরা এই জনগণমনঅধিনায়ক গানের প্রথম স্তবক জাতীয় দিবসে গেয়ে থাকি। এইটুকু অংশই জাতীয় গাথা হিসেবে মান্য।জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গবিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গতব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিষ মাগে,গাহে তব জয়গাথা।জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে॥১৯০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই জনগণমনঅধিনায়ক গানটি রচনা করেন। ভারতভাগ্যবিধাতা নামে পাঁচটি স্তবকের পূর্ণাঙ্গ গানটি আদি ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে কলকাতা শহরে আয়োজিত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভায় জনগণমনঅধিনায়ক পরিবেশিত হয়।১৯১২ সালের জানুয়ারি মাসে আদি ব্রাহ্ম সমাজের সভায় এই গানটি গীত হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগিনেয়ী সরলা দেবী চৌধুরাণী শিশুদের নিয়ে গানটি পরিবেশন করেছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতৃত্বগণ উপস্থিত ছিলেন।অ্যানি বেসান্ত ছিলেন বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিৎ ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। দক্ষিণ ভারতে অন্ধ্রপ্রদেশের মদনাপল্লীতে বেসান্ত থিওসফিক্যাল কলেজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন এবং আঠাশ ফেব্রুয়ারি তারিখে জনগণমনঅধিনায়ক গানটি তিনি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে পরিবেশন করেন। ইংরেজি ভাষায় গানটির রবীন্দ্রপ্রদত্ত নাম ছিল "মর্ণিং সঙ অফ ইণ্ডিয়া"। আজও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভাতী সঙ্গীত হিসেবে রবীন্দ্রসৃষ্ট গানটি গেয়ে থাকেন।নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজ অপশাসনের অবসান ঘটাতে রাশিয়া হয়ে জার্মানি যান। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর জাতীয় সঙ্গীত স্থির করতে একটি কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি ১৯৪১ সালের ২ নভেম্বর তারিখে জনগণমনঅধিনায়ক গানটি বাহিনীর জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে চূড়ান্ত করে।
পরে ১৯৪২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারিখে জার্মানির হামবুর্গ শহরে জার্মান ইণ্ডিয়া সোসাইটির সভায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্বয়ং জনগণমনঅধিনায়ক গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে পরিচিত করান।স্বাধীনতা প্রাপ্তির পূর্বমুহূর্তে ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালে কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির বৈঠক বসেছিল। তার অন্ত্যপর্বে বৈঠক সমাপনী অনুষ্ঠানে সদস্যরা সম্মিলিত কণ্ঠে জনগণমনঅধিনায়ক গেয়েছিলেন।পরে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি তারিখে স্বাধীন ভারত এই গানটি জাতীয় গাথা হিসেবে গ্রহণ করে। এর আগেই এই গানটি হিন্দি সিনেমায় গৃহীত হয়।১৯৪৪ জ্যোতির্ময় রায়ের গল্প আশ্রয় করে নিউ থিয়েটার্সের বিমল রায় পরিচালনা করেছিলেন উদয়ের পথে। রবীন্দ্রপ্রেমীরা এই শব্দদুটি শুনলে একটি নির্দিষ্ট কবিতা স্মরণ করবেন। উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই, হে রুদ্র তব সঙ্গীত আমি ... ইত্যাদি । সুপ্রভাত নামে রবীন্দ্র কবিতাটি। ১৯৪৫ সালে উদয়ের পথের হিন্দি রিমেক করলেন বিমল রায় নিজেই। নাম দিলেন "হামরাহি"।
হিন্দি ছবির উপযোগী করে ডায়লগ বা বাক্যবিন্যাস করে দিলেন মোহনলাল বাজপেয়ী। সুর করেছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক রাইচাঁদ বড়াল। ১২১ মিনিটের ফিল্মে বেশিরভাগ গান গেয়েছেন বিনতা বোস। হেমন্ত কুমারও ছিলেন। আর এই ফিল্মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনগণমনঅধিনায়ক গানটি সম্মেলক গান হিসেবে গাওয়া হয়েছিল। খুবই সুখ্যাতি পেয়েছিল এই হামরাহি ফিল্মটি।গানটি ১৯১১ সালে কংগ্রেসের সভায় পেশ হওয়া সূত্রে কয়েকটি ইংরেজি দৈনিক কাগজের অল্পশিক্ষিত ও অদূরদর্শী সাংবাদিক কলমচি গানটিকে ব্রিটিশ সম্রাট পঞ্চম জর্জের প্রতি প্রশস্তি হিসেবে উল্লেখ করে রিপোর্ট লিখে প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ধরনের ক্ষীণদৃষ্টি রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। বাংলা ভাষায় যাঁদের কিঞ্চিৎ ব্যুৎপত্তি আছে, তাঁরা নিচের স্তবক দুটি পড়ে দেখলে বুঝতে পারবেন সাংবাদিক নামের আড়ালে কতদূর নীচ মানসিক গঠনের পরিচয় রেখে গিয়েছেন তথাকথিত ইংরেজি দৈনিক কাগজের কলমচিরা।পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর পন্থা, যুগ যুগ ধাবিত যাত্রী।হে চিরসারথি, তব রথচক্রে মুখরিত পথ দিনরাত্রি।দারুণ বিপ্লব-মাঝে তব শঙ্খধ্বনি বাজেসঙ্কটদুঃখত্রাতা।জনগণপথপরিচায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে॥ঘোরতিমিরঘন নিবিড় নিশীথে পীড়িত মূর্ছিত দেশেজাগ্রত ছিল তব অবিচল মঙ্গল নতনয়নে অনিমেষে।দুঃস্বপ্নে আতঙ্কে রক্ষা করিলে অঙ্কেস্নেহময়ী তুমি মাতা।জনগণদুঃখত্রায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে॥এই গানটি যে কোনোভাবেই কোনো রক্তমাংসের শাসকের উদ্দেশে রচিত হতে পারে না, তা বুঝতে গেলে স্বাভাবিক বোধটুকুই যথেষ্ট।
জনগণমনঅধিনায়ক ও কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি। ভারত কিভাবে স্বাধীনতা পাবে, ও রাষ্ট্রব্যবস্থা কিভাবে পরিচালিত হবে সেই লক্ষ্যে কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি তৈরি করা হয়েছিল। স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পূর্বমুহূর্তে ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালে কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির বৈঠক বসেছিল। তার অন্ত্যপর্বে বৈঠক সমাপনী অনুষ্ঠানে সদস্যরা সম্মিলিত কণ্ঠে জনগণমনঅধিনায়ক গেয়েছিলেন।
পরে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি তারিখে স্বাধীন ভারত এই গানটি জাতীয় গাথা হিসেবে গ্রহণ করে।ভারতের স্বাধীনতা গড়ে তোলা আর তাকে সাংবিধানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালনা করতে কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি বিপুল ভূমিকা পালন করেছেন।এই কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির ধারণাটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এনেছিলেন বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা মানবেন্দ্রনাথ রায়। পরে তিনি র্যাডিক্যাল হিউম্যানিজমের কথা বলতেন। সেটা ১৯৩৪ সাল। রায়ের চিন্তা কংগ্রেস নেতাদের প্রভাবিত করে। কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীদের মধ্যেও কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির দাবি ওঠে। ১৯৩৬ সালের এপ্রিল মাসে জওহরলাল নেহরুর সভাপতিত্বে কংগ্রেসের লক্ষ্ণৌ অধিবেশনে কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির দাবি স্বীকৃত হয়। এই দাবির সূত্রে কংগ্রেস ব্রিটিশ সরকারের ১৯৩৫ সালের গভর্ণমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৩৯ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির দাবি ব্রিটিশ সরকারের সামনে উচ্চারণ করেন। তিনি প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে এই কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি গড়ে তোলার কথা বলেন। শেষমেশ ১৯৪০ সালের আগস্টে ব্রিটিশ সরকার এই দাবি মেনে নেন।প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলিগুলি ভোটের মাধ্যমে কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি গড়ে তোলে। মোট ৩৮৯ জন সদস্য নিয়ে এই সভা গড়ে তোলার কথা হয়। এর মধ্যে প্রদেশগুলি থেকে ২৯২ জন, প্রিন্সলি স্টেটগুলি থেকে ৯৩ জন, চিফ কমিশনারের স্টেটগুলি থেকে আরো চার জন, এই হিসাব হয়। কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর তারিখে। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ২০৮ জন ও মুসলিম লীগের তরফে ৭৩ জন। এই কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের রাজেন্দ্র প্রসাদ। তিনি ছিলেন আইনবিশারদ পণ্ডিত, সাংবাদিক ও অর্থনীতির অধ্যাপক। ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন দুইজন, হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায় এবং ভেঙ্গল থিরুভেঙ্কটাচারি কৃষ্ণমাচারি। মুখোপাধ্যায় ছিলেন শিক্ষাবিদ ও খ্রিস্টান নেতা, এবং কৃষ্ণমাচারি ছিলেন আইসিএস ও গুণী প্রশাসক। কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির সাংবিধানিক উপদেষ্টা ছিলেন বি এন রাউ। সংবিধান রচনা করা এই কনসটিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সংবিধানের খসড়া তৈরি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর। ২৯৯ জন সদস্য দুই বছর এগারো মাস আঠারো দিন ধরে পরিশ্রম করে ভারতের সংবিধান তৈরি করেছেন। এই কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর। ১৯৪৯ এর ২৬ নভেম্বরে অ্যাসেম্বলি এই খসড়া সংবিধানকে অনুমোদন দিয়েছিল। তারপরে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত রাষ্ট্র একে গ্রহণ করেন।