রাত নামলেই সমাজ বিরোধীদের আতঙ্ক, ঠিক কি বললেন মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়া ও চিকিৎসা কর্মীরা?
বাঁকুড়া নিজস্ব সংবাদদাতা : বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ রাত নামলেই 'অন্ধকার' আতঙ্ক৷ সন্ধে নামলেই আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের পাশে৷ আর অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। দিনের বেলায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ চত্বর রোগী, রোগীর পরিজনে ঠাসা। কিন্তু রাত নামলেই সেই মেডিক্যাল কলেজ চত্বরই হয়ে ওঠে শুনশান। সুবিশাল মেডিক্যাল কলেজ চত্বর জুড়ে তখন শুধুই অন্ধকার আর সমাজ বিরোধীদের দাপট। মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগ, চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের বলছেন, রাত নামলেই ফাঁকা হতে শুরু করে হাসপাতাল চত্বর। রাত যত গভীর হয় ততই শুনশান। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাড়তে থাকে সমাজবিরোধীদের দাপট। হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন এলাকায় বসে বহিরাগতদের মদ ও গাঁজার ঠেক। মদ্যপ যুবকেরা দাপিয়ে বেড়ায় হাসপাতাল চত্বর জুড়ে। এ থেকে নিস্তার কবে?
বাঁকুড়া শহরের এক প্রান্তে রয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগ, চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের আবাসন, লেডিজ হোস্টেল সহ পাঁচটি চিকিৎসক পড়ুয়াদের হস্টেল। দিনের বেলায় বাঁকুড়া ও আশপাশের জেলা থেকে আসা রোগী, রোগীর পরিজন, রাস্তার ধারের দোকান করা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর আনাগোনায় গোটা হাসপাতাল চত্বর থাকে সরগরম। নিরাপত্তার ফাঁক ফোঁকর তখন সেভাবে চোখে পড়ে না।
মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগ, চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের অভিযোগ, হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নামকেওয়াস্তে একজন করে নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও চিকিৎসার প্রয়োজনে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে যেতে হলে রোগীর পরিজন, চিকিৎসা কর্মী ও চিকিৎসকদের পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ অন্ধকার পথ। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েন মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ারা। হাসপাতালের গোবিন্দনগর চত্বর থেকে ৫০০ মিটারেরও বেশি দূরে রয়েছে লেডিজ হস্টেল। অন কল ডিউটি করতে এতটা দীর্ঘ পথ পেরিয়ে রাত বিরেতে প্রায়শই হাসপাতালে ছুটে আসতে হয় তাঁদের। যে পথের বেশিরভাগ অংশই অন্ধকারে ঢাকা। এই পথে নিরাপত্তারও কোনো বালাই নেই।বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ এই বেহাল অবস্থার কথা প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। প্রশাসনের নাকের ডগায় সবটা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।