বাঁকুড়া জেলার মহকুমাশাসক IAS নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন দক্ষ প্রশাসক!
নিজস্ব সংবাদদাতা : বাঁকুড়া জেলার মহকুমাশাসক IAS নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন দক্ষ প্রশাসক!জঙ্গলমহল বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালে UPSC-তে এই নজিরবিহীন সাফল্যের পর, ট্রেনিং শেষে এখন বাঁকুড়ার খাতড়া-র SDO (মহকুমাশাসক) পদে রয়েছেন । প্রথমে কারমেল গার্লস, তারপর সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলে পড়াশোনা। তারপরে আইআইটি T খড়্গপুরে শুরু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ। সেখানে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা। তারপর ক্যাম্পাসিং-এ চাকরি।দক্ষ ও ব্যস্ততম প্রশাসক হিসেবেই পরিচিতি তাঁর। কিন্তু তিনিই একজন উচ্চ মানের সংগীত শিল্পীও। এই খবরটি বোধহয় অনেকেরই অজানা। খাতড়ার মহকুমাশাসক IAS নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে দক্ষ অফিসার, ততোধিক নিপুণ গায়িকাও।এত ভাল চাকরি, এত বড় সুযোগ, তারপরেও এমন ভাবনা কেন? নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি কখনও বিদেশে যেতে চাননি।কীভাবে করলেন? IAS নেহা ব্যানার্জী জানান, প্রতিদিন সকালে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পড়াশোনা করতেন তিনি। অফিস যাওয়ার আগে ওই সময়টা তিনি রোজ পড়াশোনা করতেন। সপ্তাহে যে ২ দিন (শনিবার ও রবিবার) ছুটি থাকত, সেই দিনগুলি নাগাড়ে চলত পড়াশোনা। এক একদিন অন্তত ১২-১৩ ঘণ্টা করে প্রস্তুতি। তাছাড়াও ব্যবহার করতেন অফিসে যাতায়াতের সময়টাও। প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে তিনি এও জানান, পড়াশোনার অনেকটা তিনি ডিজিটাল মাধ্যমেই ইলে খবরের কাগজ পড়া থেকে বিভিন্ন বই পড়া- ক্লাস করা- সবই ছিল ডিজিটাল মাধ্যমে। তিনি জানিয়েছেন, “মোবাইলেও পড়াশোনা করতাম। খবর, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়তাম। কিছু কিছু নোট মোবাইলে নিয়ে যেতাম। অফিস যেতে যেতে, অফিসের লাঞ্চ টাইমে পড়তাম। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া ওই সময় সম্পূর্ণ ত্যাগ করেছিলাম!” শুধু পড়শোনা নয়, সঙ্গীত-অন্ত-প্রাণ নেহা গানের রেওয়াজও চালিয়ে যেতেন সময় পেলেই। সম্প্রতি, বিষ্ণুপুর মেলার মঞ্চে সুরের জাদুতে SDO নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় মুগ্ধ করেছেন বাঁকুড়াবাসীকে। রূপে-গুণে-দক্ষতায় এমন ‘অনন্যা’ মহকুমাশাসককে পেয়ে গর্বিত জঙ্গলমহল খাতড়ার বাসিন্দারা!