বাঁকুড়ার সার্ভিস কালীবাড়ি! ৮৪ বছর ধরে ‘মনস্কামনা পূর্ণ করে চলেছেন!
নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘সার্ভিস কালী’ মন্দির রয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। বাঁকুড়া শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে সোনামুখী পুরসভা। সরকারি হোক বা বেসরকারি, চাকরির বাজারে ঘোর মন্দা। অবস্থা এমনই যে বেকারত্বের হার অতীতের সব রেকর্ডকে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার পথে এগোচ্ছে ধীরেসুস্থে। কিন্তু চাকরির বাজারে মন্দা যতই আসুক না কেন ‘সার্ভিস কালী’র নামডাক আজও একই রকম। জনশ্রুতি, এখানে মানত করলেই নাকি চাকরি মেলে, গত ৮৪ বছর ধরে এই বিশ্বাসে ভর করে সার্ভিস কালীর পুজো করে আসছেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর মানুষ।কথিত আছে, এক সময় ধর্মতলায় ষোলো আনার কালী নামের একটি পুজো হত। ৮৪ বছর আগে পাড়ার বাসিন্দাদের বিবাদের জেরে কালী পুজোটি দু’ভাগ হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, সে সময় স্থানীয় এক পরিবহণ ব্যবসায়ী বাসের রুট পারমিট সংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। এলাকায় নতুন করে চালু হওয়া পুজোয় কালীর কাছে মানত করেন। হাজার চেষ্টাতেও পারমিট সংক্রান্ত যে সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব হচ্ছিল না সেই সমস্যা পুজো মিটতেই মিটে যায়। কালীর মহিমা ছড়িয়ে পড়ে। শোনা যায়, এলাকার যুবকদের চাকরির মনস্কামনাও পূর্ণ করেন দেবী। এর পর থেকেই ওই কালীর নাম লোকমুখে ষোলো আনা সার্ভিস কালী হয়ে যায়।চাকরির এই মন্দা বাজারে সোনামুখীর সার্ভিস কালীর মহিমা ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে। চাকরির বাজার যত সঙ্কুচিত হয়েছে, ততই কদর বেড়েছে ষোলো আনা সার্ভিস কালীর। বর্তমানে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই থেকেও বহু মানুষ চাকরির মনস্কামনা নিয়ে ছুটে আসেন সোনামুখীর ষোলো আনা সার্ভিস কালীর কাছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সোনামুখীর কিছু ব্যক্তি কোনওভাবেই বাস সার্ভিস চালু করার লাইসেন্স পাচ্ছিলেন না। তখন তাঁরা দেবী ‘সার্ভিস কালী’র মন্দির এক টাকা বা ষোলো আনা দিয়ে মানত করেছিলেন। আর, তাতেই নাকি কেল্লাফতে হয়। দিনের পর দিন চেষ্টা করেও যে বাস সার্ভিস চালু করা যাচ্ছিল না, সেই বাস সার্ভিসের লাইসেন্স অচিরেই মিলে যায়।