সোমবার দিল্লিতে গাড়িতে বিস্ফোরণের পর ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের জঙ্গি যোগ?

 নিজস্ব সংবাদদাতা : ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল দিল্লি । সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর শোনা গিয়েছে। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে বলে খবর। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণের আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদে দুটি ভাড়াবাড়ি থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সাদা পোশাকের সন্ত্রাসের মুখ,আর সেই ভাড়া বাড়িটি ডাক্তারের। ওই ডাক্তারের নাম মুজাম্মিল শাকিল।প্রথম গ্রেফতার হন জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক আদিল আহমদ রাদারের। ঘটনায় তদন্তে নেমে তদন্তকারীদের নজরে এল এক মহিলা চিকিৎসক। এই বিরাট সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই সন্দেহভাজন মহিলা। সেখান থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, ভারতের মাটিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাসুদের ‘জেনানা জেহাদি’রা। আহমেদ সাইয়েদ - ৭ নভেম্বর গুজরাটের আদালাজ এলাকা থেকে রাজ্য এটিএসের (ATS) হাতে ধরা পড়ে হায়দরাবাদের চিকিৎসক আহমেদ মোহিউদ্দিন সাইয়েদ (৩৫)। চিন-প্রশিক্ষিত এই চিকিৎসক ‘রিসিন’ নামক বিষাক্ত প্রোটিন প্রস্তুত করছিলেন বলে অভিযোগ। দিল্লির আজাদপুর মাণ্ডি, আমদাবাদের নারোদা মার্কেট ও লখনউর আরএসএস কার্যালয়ের মতো জনবহুল এলাকাগুলির রেকি করছিলেন তিনি।

পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে অপারেশন সিঁদুরে জইশের কোমর ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানে মৃত্যু হয় মাসুদ আজাহারের পরিবারের ১১ সদস্যের। এর ঠিক পরই ভারতের বিরুদ্ধে বদলা নিতে মাসুদ আজাহারের বোন সাদিয়ার নেতৃত্বে নয়া মহিলা ব্রিগেড তৈরির ঘোষণা করে জইশ। ভাওয়ালপুরের মার্কাজ-উসমান-ও-আলি থেকেই এই সংগঠন তৈরি করা শুরু করে জইশ। নতুন এই মহিলা ব্রিগেডের নাম জামাত-উল-মোমিনাত। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভাওয়ালপুরে জইশের সদরদপ্তর গুঁড়িয়ে দেয় সেনা।

শুধু তাই নয় শোনা যায়, ভারতকে রক্তাক্ত করতে ‘জামাত-উল-মোমিনাত’ জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। চলতি সপ্তাহে আবার মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা পুণে থেকে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করে। আল কায়েদার সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

ধৃতের নাম জুবের হাঙ্গারগেকর। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল জুবেরের। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর এবং গুজরাটে আলাদা অভিযানে বিপুল অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং রাসায়নিক পদার্থ বাজেয়াপ্ত হয়। এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করছে, উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবীদের একাংশকেও ক্রমশ ব্যবহার করা হচ্ছে সন্ত্রাসের হাতিয়ার হিসেবে।