বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি সঙ্গে বাঙ্গালী পরিচালক সঙ্গে কাজ!

নিজস্ব সংবাদদাতা :   গত ২০ অক্টোবর, ৮৪ বছর বয়সে বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি প্রয়াত হলেও, তাঁকে আবারও পর্দায় দেখা যাবে। অসুস্থতার কারণে তিনি চলে গেলেও, দর্শকদের হাসানোর জন্য তাঁর শেষ দু'টি ছবি এখনও মুক্তি পেতে বাকি। এমন কি মাত্র ১০ দিন আগে তাঁর শেষ ইভেন্ট ছিল। তিনি স্টেজে ছিলেন এবং সিন্ধি সুরের তালে নাচছিলেন। ওয়াও, কী দারুণ জীবনই না তিনি যাপন করলেন! একজন সত্যিকারের রত্নশিল্পী, আমাদের কিংবদন্তি আসরানি সাহেব।

তপন গাঙ্গুলী ও আসরানী-জি

১৯৯৮ ভারত বিখ্যাত "বিহারী বাবু র বাঙালী বউ" যাত্রাপালার অভিনয়ও করেছিলেন গোবর্ধন আসরানি-জি এবং এই যাত্রাপালার নির্দেশক এর দায়িত্ব পালন করেছিলেন চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা ও পরিচালক তপন গাঙ্গুলী। তপন গাঙ্গুলী বলেন এই যাত্রাপালার প্রযোজক ছিলেন কার্তিক সামন্ত ও অভিনয় করেছিলেন গোবর্ধন আসরানি-জি। যাত্রার তখন রমরমা চলছে। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি র শক্তি কাপুর, জীনাত আমন (জিনাত আমানুল্লাহ খান), রবীনা ট্যান্ডন, সুধা চন্দ্রন, বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জি পর্যন্ত যাত্রা করেছেন।তপন গাঙ্গুলী বলেন তিনি একজন সুন্দর মানুষ ছিলেন, এই কিংবদন্তির কমিক টাইমিং, আমাদের হৃদয়ে চিরকাল থাকবে। আমাদের শিল্পের এটি এক বিরাট ক্ষতি। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন আসরানি-জি। আমাদের হাসাতে লক্ষ লক্ষ কারণ দিয়েছেন আপনি। 

"কাহানি এক চোর কি" সিনেমা|রঞ্জিত, জিতেন্দ্র ও গোবর্ধন আসরানি

প্রথম সিনেমা ১৯৬৭ সালে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, হেলেন অভিনীত 'হারে কাঁচ কি চুড়িয়াঁ'। এই সিনেমার মাধ্যমেই বলিউডে অভিষেক ঘটে তাঁর। ২০২৩ সালে তাঁকে 'নন স্টপ ধামাল' সিনেমায় জাস্স ভাইয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। তার মাঝে ৩৫০টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে দর্শকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। কমেডির পাশাপাশি তিনি বহু নাটকীয় চরিত্রেও নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। ধর্মেন্দ্র থেকে অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, সলমন খান থেকে অক্ষর কুমার, গোবিন্দা, জিতেন্দ্র, আয়ুষ্মান খুরানা, সব তারকা অভিনেতাদের বড় হিটের পিছনে তাঁর ভূমিকা ছিল।

তাঁর স্মরণে দেখে নেওয়া যাক আসরানির অভিনীত সেরা ১০টি সিনেমা ও চরিত্র- আসরানির মুখে শোলের সেই বিখ্যাত সংলাপ

২) আজ কী তাজা খবর (১৯৭৩) : মুন্সি
এই ছবিই তাঁকে বলিউডের সেরা কৌতুক অভিনেতাদের তালিকায় স্থায়ী জায়গা দেয়।
৩) ছোটি সি বাত (১৯৭৬): চান্দু
অমল পালেকারের সঙ্গে সহজ-সরল হাস্যরস, যা দর্শকের মনে জায়গা করে নেয়।

ধামাল সিনেমায় আসরানি :

৪) হেরা ফেরি (২০০২): নন্দ কিশোর
পর্দায় তাঁর 'বকো না খাও!' সংলাপ ও ভঙ্গিমা দর্শককে হাসিয়ে কাঁদায়।
৫) চুপ চুপ কে (২০০৬): পন্ডিত
শাহিদ কাপুর ও রাজপাল যাদবের সঙ্গে অসাধারণ কমিক কেমিস্ট্রি।

৬) হালচাল (২০০৪) : পন্ডিত জি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় ছোট চরিত্র হলেও মনে রাখার মতো অভিনয়।
৭) চালা মুরারী হিরো বননে (১৯৭৭) : এটি আসরানীর পরিচালিত ও অভিনীত চলচ্চিত্র— স্বপ্ন ও সংগ্রামের গল্প, যেখানে তিনি নিজের জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
৮) পরিচয় (১৯৭২) : সিরিয়স বিষয় সিনেমায়ও তাঁর উপস্থিতি সবসময় আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
৯) অভিনন্দন (১৯৭৬) : পার্শ্বচরিত্র হয়েও আবেগ ও হাসির সূক্ষ্ম মিশ্রণ এনে দিয়েছেন।