বিপদতারিণী ব্রত!
নিজস্ব সংবাদদাতা : আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে শনি বা মঙ্গলবারের মধ্যে বিপত্তারিণী ব্রত করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এই ব্রত পালন করলে সংসারের সব বিপদ কেটে যায়। শাস্ত্র মতে বিপত্তারিণী আসলে দেবী দুর্গার ১০৮টি স্বরূপের মধ্যে অন্যতম। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী শ্রদ্ধা-ভক্তিভরে বিপত্তারিণীর পুজো করলে দেবী সমস্ত সংকট কাটিয়ে দেন ও আপদ-বিপদ থেকে রক্ষা করেন। এই পুজোয় সব কিছু ১৩টি করে দেবীকে নিবেদন করা হয়। বিপত্তারিণী পুজোর তারিখ ও নিয়ম-সহ নানান খুঁটিনাটি এখানে আলোচনা করা হল।
প্রথম বিপত্তারিণী পুজো হবে ১৩ আষাঢ় (ইং ২৮ জুন), শনিবার। এদিন আষাঢ় শুক্লপক্ষের তৃতীয়া থাকবে বেলা ১২টা ২১ মিনিট ১ সেকেন্ড পর্যন্ত। তার পর চতুর্থী তিথি শুরু হবে।
আবার ১৬ আষাঢ় অর্থাৎ ইংরেজি ১ জুলাই, মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার বিপত্তারিণী পুজো হবে। এদিন আষাঢ় শুক্ল ষষ্ঠী তিথি থাকবে বেলা ১২টা ২৭ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত। তার পরই সপ্তমী আরম্ভ।
বিপত্তারিণী পুজোর দিনে কী করবেন ও কী করবেন না
বিপত্তারিণী পুজোর দিনে চাল, গম খাওয়া নিষিদ্ধ।
পরিষ্কার-পরিচচ্ছ করে বিপত্তারিণী পুজো করা হয়। অপরিচ্ছন্ন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করলে পরিবারের সুখ-শান্তি বিঘ্নিত হয়।
পুজোয় বসার পর থেকে তা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কারও সঙ্গে কথা বলতে নেই। তা না-হলে দেবী রেগে যান। এর প্রভাবে আর্থিক সমস্য়া দেখা দিতে পারে ও লোকসানের মুখে পড়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।
এই পুজোর দিনে কাউকে অপমান করতে নেই। মহিলাদের সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলতে নেই।
এই দিনে টাকার লেনদেন করতে নেই। মনে করা হয় বিপত্তারিণী পুজোর দিনে ধার দেওয়া টাকা ফিরে পাওয়া যায় না।
মদ্যপান, আমিষ খাবার খেতে নেই।
শাস্ত্র মতে বিপত্তারিণী পুজোর দিনে বাড়ি থেকে কাউকে চিনি দিতে নেই। এতে সংসারে অশান্তি প্রবেশ করে৷ এই তিথিতে কাউকে ধার দেবেন না৷ কারওর কাছ থেকে ধার নেবেন না৷