পশ্চিম মেদিনীপুরের মাধ্যমিক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জেলার বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষক-প্রধান শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ!
পশ্চিম মেদিনীপুর, সেখ ওয়ারেশ আলী : পশ্চিম মেদিনীপুরের মাধ্যমিক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডি আই) জেলার বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষক-প্রধান শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ । শুক্রবার প্রথমে তিনি জেলায় ডিআইও অফিসের নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ডি আই এর অধিকার কি আছে এই নির্দেশিকা জারি করার?এরই সঙ্গে তিনি মমতা ব্যানার্জীর চ্যালা হিসেবেও কটাক্ষ করেন। তিনি আগের একটি ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন এর আগে কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত নিয়ে ফরমান জারি করেছিল যা কেউ মানেনি। এখানেও তিনি সরকারি আধিকারিকদের দিয়ে এই ধরনের ফরমান জারি করে তাদের ইমেজ খারাপ করছেন।মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।আজকে তিনি ডাক্তারদেরও আটকাতে পারেননি শিক্ষক পড়ুয়াদের ও আটকাতে পারবেন না। এবার ডাক্তারদের উপর চাপ সৃষ্টি নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষের সোজা সাপটা উত্তর ডাক্তারদেরও আন্দোলন করার অধিকার আছে।যারা অন্যের চিকিৎসা দেবে তারা যদি ভয়ে ভোট আসে নিরাপত্তা না পায় তবে তারা অন্যের চিকিৎসা করবে বা কেন। তিনি বলেন সিকিউরিটি ফাস্ট ট্রিটমেন্ট মাস্ট যা দুটোই করতে হবে ডাক্তারদের। এরপর সন্দীপ ঘোষের যে রাতে অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন পুলিশ কেউ বাঁচাতে যা পারবেন না ডাক্তার প্রিন্সিপালকেও বাঁচাতে পারবেন না। মমতা ব্যানার্জি নিয়ে তিনি বলেন মমতা ব্যানার্জি এই নিয়ে অনেকবার রাস্তায় হেঁটেছেন,এরকম ধরনের ঘটনায় পারও পেয়ে গেছেন কিন্তু এবার আর তাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।একাধিক কারণে গ্রাম ও শহরের মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ আজকে দেখা গেছে রাস্তায়,যার জন্যই মমতা ব্যানার্জির পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।তবে এই ধরনের নৃশংস ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে দিলিপ ঘোষ বলেন মমতা ব্যানার্জি এই ধরনের ঘটনা ইচ্ছাকৃত ঘটান এবং হলেই তিনি ফাস্ট ট্রাক কোর্টের আবেদন করেন। আজ থেকে ১০ বছর পিছিয়ে গিয়ে দেখুন মমতা ব্যানার্জি সেই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টেই আবেদন করার কথা বলেছেন। উনি কোনোভাবেই চান না এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে রাজ্যে বরং উনি চান এ ধরনের ঘটনা ঘটুক এই রাজ্যে বারংবার। আর কোর্টের ফাইল বাড়ুক জাস্টিসের আবেদন হোক।কোটি কোটি কেস জমে আছে কোর্টে যার জন্য বিচার বিলম্বিত হয়।মমতা ব্যানার্জি পুলিশ মন্ত্রী হয়েও তিনি চান এ ধরনের অপরাধ বাড়ুক এই রাজ্যে।