প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষণ, ধৃত সবং-এর বিজেপি কর্মী!
প্রভাব খাটিয়ে চেষ্টা করেন সালিশি সভা বসিয়ে সমস্যা সমাধানের.............পশ্চিম মেদিনীপুর,নিজস্ব সংবাদদাতা : বাড়িতে একা ছিলেন শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী বছর ৩৩-এর যুবতী। সেই সুযোগে প্রতিবন্ধী মহিলার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠল প্রতিবেশী ৫৭ বছর বয়সি মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তির উপর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানা এলাকায়। শুধু তাই নয় ধর্ষণের পর ওই মহিলাকে ভয় এবং হুমকি দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। এমনকি প্রভাব খাটিয়ে চেষ্টা করেন সালিশি সভা বসিয়ে সমস্যা সমাধানের। কিন্তু মহিলার পরিবার সবং থানার পুলিশের দ্বারস্থ হলে অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করে ওই দিন রাতেই খড়্গপুরের শ্যামচক এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সাথে সাথে 'নির্যাতিতা' প্রতিবন্ধী মহিলার শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। ধর্ষণে অভিযুক্ত ধৃত ব্যক্তি আবার এলাকায় বিজেপির প্রভাবশালী কর্মী হিসেবে পরিচিত। মঙ্গলবার ধৃত ব্যক্তিকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশদেন। এই দিকে ঘটনাটি সম্পর্কে সবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ আবু কালাম বলেন, ‘‘অভিযুক্ত বিজেপির কর্মী। বিজেপির মিটিং-মিছিলে তাঁকে দেখা যায়। এলাকায় তিনি দাদাগিরির চেষ্টা করতেন। অপরাধের পরে প্রভাব খাটিয়ে ‘নির্যাতিতা’কে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন উনি। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।’’
পাশাপাশি ‘নির্যাতিতা’র শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।
অন্য দিকে, বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি অমূল্য মাইতি বলেন, ‘‘ও (অভিযুক্ত) কোনও দিন বিজেপি করেননি। উনি বিজেপির সদস্য নন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অভিযুক্ত আদতে তৃণমূলের কর্মী। আর দোষ করলে তো শাস্তি পেতে হবে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আশা করা যায়, আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।’’