ব্যাপক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশের ফুলচাষিরা,পুজোর সময়ে বাড়তে পারে ফুলের দাম!

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়েক দিনের বৃষ্টি ও তার সাথে ড্যাম থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশে। তারই মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা, ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা-সহ বিভিন্ন এলাকায় জলের সঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রচুর ফুলগাছ। যা কিছু ফুলগাছ আছে তাও আবার পচে গিয়েছে। ফলত এবার ব্যাপক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশের ফুলচাষিদের। এমনকি বন্যায় নষ্ট হয়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধা,গাঁদা, দোপাটি এবং জবার মতো ফুল গাছের চারা। যার বেশির ভাগটিই চাষ হয় ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুর, ডুয়া,শ্যামচক, জলিবান্দা,মির্জানগর,নছিপুর, খড়্গপুর গ্রামীণের মাদপুর, শ্যামচক, দাসপুরের জ্যোৎঘনশ্যাম, রাজনগর, শিবরা,খুরোদা এলাকায়। কিন্তু এর ফলে কলকাতা-সহ পার্শ্বস্থ জেলাগুলিতে পুজোর সময়ে ফুলের জোগান কম হবে বলে আশঙ্কা। ফুলের দাম বাড়তে পারে এও আসা করা যায়। অন্যদিকে চাষের জমিতে জমে থাকা জল চিন্তা বাড়াচ্ছে। জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক মৌ রায় বলেন, ‘জল না কমা পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়, কতটা পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। একটা ‘অ্যাসেসমেন্ট’ করা চলছে। রিপোর্ট পেলেই রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে'। সারা বাংলা ফুলচাষি এবং ফুল ব্যবসায়ী সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি নারায়ণচন্দ্র নায়েক বলেন, 'এ বার দুই মেদিনীপুরেই ফুলচাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ‘প্রায় ৫০ শতাংশ ফুলগাছই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পুজোর সময় ফুলের জোগানে সমস্যা হবে। ভিন্‌রাজ্য থেকে ফুল আমদানি করতে হবে। ফলে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তো থাকছেই। কিন্তু সমস্যা হল, দাম বেশি হলে পুজো উদ্যোক্তারা নিশ্চয়ই ফুলের বাজেট কাটছাঁট করবেন। তাই ক্ষতিটা ফুলচাষি থেকে ব্যবসায়ী, সবারই। পদ্মচাষের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি। জল বেশি হওয়ায় প্রচুর গাছ নষ্ট হওয়ার মুখে'।