রাত দখলের আদলে এবার ঢাকায় শেকল ভাঙার পদযাত্রার ডাক, যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে ১৩ দফা দাবি!

ঢাকা, জাকির হোসেন: বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংরক্ষণ আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে পথে নেমেছিলেন, ছিলেন গণঅভ্যুত্থানের অনন্য প্রাণশক্তি৷ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর বাংলাদেশ অশান্ত হয়ে ওঠে তখনও পথে নামেন। এমনকি বটি হাতে নিয়েও তিনি রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন। এবার তিনি পশ্চিম বাংলার রাত দখলের মতো বাংলাদেশেও শেকল ভাঙার পদযাত্রার ডাক দিলেন। কিন্তু লক্ষ্য কী?

কলকাতায় আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে অভিনব এক আন্দোলন সংগঠিত হল শহরটিতে। যেখানে নারীরা একে অপরকে আহ্বান করলো এই বলে, ‘রাত দখল করো’। ১৪ আগস্ট রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন রাজপথে নারীরা নেমে আসে। গোটা রাত তারা কাটায় রাজপথেই। এমন ঘটনার ঠিক ১৬ দিনের মাথায় কাল ৩০ আগস্ট শুক্রবার অনেকটা তারই প্রতিচ্ছবি মিলবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। অংশগ্রহণে নারী এবং বিষয়বস্তুও একই। রাজপথে নামার সময়টাও কাকতালীয়ভাবে প্রায় একই, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট! তবে ব্যানারটা ভিন্ন, ‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’। এখানে তাঁরা মূলত ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, যৌন নিগ্রহ, যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে সরব হবেন এবং একই সঙ্গে যারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিচারের দাবি তুলবেন। এই কর্মসূচির কথা জানিয়ে তিনি বাংলার মহিলাদের আহ্বান জানিয়েছেন এতে যোগ দেওয়ার জন্য। জানা গিয়েছে আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ৩০ অগস্ট রাত ১১ টা বেজে ৫৯ মিনিটে তাঁরা জড়ো হবেন শাহবাগে। তারপর সেখান থেকে পদযাত্রা করে তাঁরা এগিয়ে যাবেন সংসদ ভবন পর্যন্ত। এদিন এই পদযাত্রায় বাঁধনরা মোট ১৩ দফার দাবি জানাবেন বলেই জানা গিয়েছে। নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, যে অপরাধীরা এর আগে ধর্ষণ, ইত্যাদির মতো জঘন্য অপরাধ ঘটিয়েছেন তাদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার মতো দাবি তুলবেন বলেই জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ অগস্ট রাত দখল করে পশ্চিম বাংলার মেয়েরা। কেবল বাংলা নয়, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তেও পথে নামে মানুষ। বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও চলে রাত দখলের কর্মসূচি। বাদ যায়নি বাংলাদেশও।

বাংলাদেশে সংরক্ষণ আন্দোলনের পথ ধরে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরাচারের পতন –তখনও আন্দোলনের পক্ষে সরব ছিলেন অভিনেত্রী বাঁধন৷ চিত্র-সংগৃহীত