পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমাজকর্মী প্রয়াত গণপতি বসুর ১০২তম জন্মশতবর্ষ উদযাপন!

নিজস্ব সংবাদদাতা : গণপতি বসু স্মৃতি সমাজ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বিশিষ্ট উদ্যোগপতি, সমাজকর্মী, সাহিত্যানুরাগী , মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত গণপতি বসুর ১০২তম জন্ম দিবস পালিত হলো যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে। এদিন সকালে গণপতি বসু সরণীতে অবস্থিত বসু পরিবারের বাসস্থানে অবস্থিত আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। পরে গণপতিনগরে প্রয়াত গণপতি বসুর স্মৃতিস্তম্ভে মাল্যদান করা হয়।

তাঁর সমাধিক্ষেত্রে এবং আবক্ষ মূর্তিতেও মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ নিবেদন করা হয়। বিকালে গণপতি নগরে গণপতি বসু উদ্যানে প্রয়াত বসু অনুরাগী বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী বিশ্বেশ্বর সরকার। এছাড়াও প্রারম্ভিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী জয়ন্ত সাহা, সঙ্গীত শিল্পী আলোক বরণ মাইতি। বিভিন্ন বক্তা তাঁদের বক্তব্যে প্রয়াত বসুর সাহিত্যকৃতি, কৃষিশিল্প বিষয়ে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য, আতিথেয়তা, মহানুভবতা এবং দানশীলতার কথা
স্মরণ করেন।

উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সত্যরঞ্জন ঘোষ, লোকসংস্কৃতি গবেষক মধুপ দে. মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির কার্যকরী সভাপতি সিদ্ধার্থ সাঁতরা, সমাজসেবী চিত্ত মুখার্জী, শ্যামল ঘোষ, শ্যামল দাস, রুমা মন্ডল, রীতা বেরা, শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া,সময় বাংলার কর্মশালার জয়ন্ত মন্ডল, গণপতি বসু স্মৃতি সমাজ কল্যাণ সমিতির কার্যকরী সভাপতি কৃষ্ণপ্রসাদ মাইতি, সম্পাদক তারাপদ দে, প্রাক্তন সম্পাদক কার্তিক রুইদাস, গণপতি বসুর পুত্র চন্দন বসু, পৌত্র অভ্রনীল বসু, রাজীব গরাই, সুভাষ নাগ এবং গণপতি নগরের অধিবাসীবৃন্দ প্রমুখ। দীপেশ দে, গণেশ শ্যামল সংগীত পরিবেশন করে অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নয়ন পত্রিকার সম্পাদক সম্পাদক বিদ্যুৎ পাল।