রেলগেট জ্যাম নিয়ে চন্দ্রকোনা রোডবাসীর ডেপুটেশনের জেরে নড়েচড়ে বসল রেল কর্তৃপক্ষ!
চন্দ্রকোনা রোড অভিজিৎ সাহা : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোড এলাকার দীর্ঘদিনের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ানো রেলগেট জ্যাম সমস্যা নিয়ে অবশেষে নড়েচড়ে বসল রেল কর্তৃপক্ষ। গত ১৫ ডিসেম্বর চন্দ্রকোনা রোড অধিবাসীদের পক্ষ থেকে স্টেশন ম্যানেজারের মাধ্যমে আদ্রা ডিভিশনের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। সেই ডেপুটেশনের জেরেই এবার ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF)-এর ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, চন্দ্রকোনা রোড রেলগেটে দিনের পর দিন দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচলের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে স্কুল পড়ুয়া, রোগী, অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কখনও কখনও অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত আটকে পড়ছে বলে অভিযোগ।এই পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই সম্প্রতি RPF ইন্টেলিজেন্স বিভাগের আধিকারিকরা চন্দ্রকোনা রোডে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
তাঁরা রেলগেটের জ্যাম বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন এবং সমস্যা কতটা গুরুতর তা সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন।চন্দ্রকোনা রোড অধিবাসীদের পক্ষ থেকে বিনয় প্রসাদ জানান,“রেলগেটের জ্যাম এখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। দিনের পর দিন মানুষ আটকে পড়ছে। আমরা বহুবার জানিয়েছি, এবার ডেপুটেশনের পর রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন, এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি।”তিনি আরও বলেন,“রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে এবং উড়ালপুল বা সাবওয়ে নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। তবে দ্রুত পদক্ষেপ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”স্থানীয়দের দাবি, চন্দ্রকোনা রোড একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল ও সড়ক যোগাযোগ কেন্দ্র। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রেলগেট পারাপার করেন। অথচ এখানে কোনও বিকল্প রাস্তা বা ফ্লাইওভার না থাকায় সামান্য ট্রেন চলাচলেই পুরো এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়।রেল আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে,চন্দ্রকোনা রোডে রেলগেটের সমস্যার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং রিপোর্ট উর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়েও আলোচনা হবে।এদিকে, এলাকাবাসীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি—দ্রুত উড়ালপুল বা সাবওয়ের কাজ শুরু না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন ও রেল অবরোধের পথে হাঁটবেন তারা।