কোলাঘাটে নতুন রেলব্রীজ নির্মাণের পরিপ্রেক্ষিতে ৭০ টি দোকান উচ্ছেদ কর্মসূচিতে দোকানদার পরিবারের বাধাদান,পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি!
পূর্ব মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের রূপনারায়ণ নদের উপর কোলাঘাটের আপ ও ডাউন রেলের দুটি ব্রীজে কয়েক মাস আগে ফাটল দেখা দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুই ও তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফাঁকা অংশে আরও দুটি প্লাটফর্ম সেই সংলগ্ন নদের ওপর দুটি রেল ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশের অগ্রগতির প্রয়োজনে রেল ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়ন দরকার মনে করে, দোকানদার পরিবারের লোকজন বিষয়টি মেনে নেন। বর্তমানে দুই ও তিন নম্বর প্লাটফর্মের মাঝে ফাঁকা অংশে ৭০ টি গুমটি করে জীবিকা নির্বাহ করে ওই দোকানদারেরা। পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনে নামে কোলাঘাট স্টেশন রোড ও শরৎ সেতু এরিয়া বাজার কমিটি। খড়গপুর ডি.আর.এম.গত ২০ জানুয়ারী এলাকা পরিদর্শন করে রেলের পরিত্যক্ত জায়গায় ওই দোকানগুলিকে পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন এবং এ.ডি.ইএন. ও আই.ও.ডব্লিউ. উপস্থিত থেকে নতুন দোকান নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এর কয়েকদিন পর উচ্ছেদ হওয়া দোকানদারেরা রেলের পরিত্যক্ত জায়গায় অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করে,কিন্তু একদল দুষ্কৃতী সেই অস্থায়ী কাঠামো পরের দিন ভাঙচুর করে। অভিযোগ এই কর্মকান্ড শাসকদলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অঙ্গুলিহেলনে সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে দোকানদাররা একজোট হয়ে আজ ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি পুনর্বাসন ছাড়া দোকান উচ্ছেদ চলবে না,এই দাবীকে সামনে রেখে প্রতিরোধ আন্দোলনে সামিল হন। সকাল ন'টা নাগাদ আর.পি.এফ.'র বিরাট পুলিশ বাহিনী মেসিন নিয়ে কাঠামো ভাঙতে এলে দোকানদার পরিবারের লোকজনদের সাথে প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়। ইতিমধ্যে ১৪ টি গুমটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য আন্দোলনের চাপে পুলিশ পিছু হটে। পুনর্বাসনের জন্য রেল দপ্তরের নির্ধারিত জায়গায় কাঠামো তৈরিতে যারা বাধা দিয়েছিল,তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করে। আজকের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন,বাজার কমিটির সভাপতি ফনি ভূষণ মাজী ,সম্পাদক অশোক কপাট ও দক্ষিন পূর্ব রেলওয়ে দোকানদার কল্যান সমিতির সহঃ সভাপতি শংকর মালাকার,মধুসূদন বেরা প্রমূখ । কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,উচ্ছেদ হওয়া দোকানদারদের পুনর্বাসন ছাড়া কোনওভাবে বাকী দোকান ভাঙা চলবে না।