খড়গপুরে আদিবাসীদের জমি দখল নিয়ে অভিযোগ,রেশমী গ্ৰুপ!

নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী মানুষদের শোষণ করে চলছে রেশমী গ্ৰুপের ৬নং কারখানা। প্রশাসনিক মহলে জানানো হলেও কারখানার জমি দখল বন্ধ হচ্ছে না। এমনকি জাত্তিসত্ত্বার অধিকার ধর্মীয় স্থানকেও হজম করতে চলেছে। গরীব খেটে খাওয়া আদিবাসী, ভূমিজ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। মঙ্গলবার খড়গপুর গ্ৰামীণ কৃষি জমি জীবিকা ও পরিবেশ সংগঠন মহকুমা শাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ সংগঠিত করল।
মহকুমা শাসকের কাছে নিম্নলিখিত যে দাবি রাখা হয় :
১)
১৪ একর জমি যা কোম্পানি অন্যায় ভাবে নিয়েছে, সেই পরিমাণ চাষযোগ্য জমি কোম্পানির এলাকার বাইরে কিনে দিতে হবে।
২)কোম্পানির ভিতরে পাট্টাদার ও বরগাদারদের জমির সঠিক মূল্য দিতে হবে ২০০জনকে।
৩)লালু সরেন নামে এক আদিবাসীর পুকুর অন্যায় ভাবে কোম্পানি বুজিয়ে দিয়েছে। জমি কিনে কোম্পানির বাইরে দিতে হবে। ৪একরের সরকারি বাউচা পুকুর অন্যায় ভাবে বুজিয়ে দিয়েছে, তার প্রতিকার চাই।
৪)রেশমী কারখানা মন্দিরের ভিতর দুটি বনদেবীর মন্দির এবং ১৪একর রায়ত জমি যা এখনো বিক্রি হয়নি তা কারখানার বাইরে করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫)রেশমী গ্ৰুপ দূষণ যুক্ত কারখানা করার নামে আদিবাসীদের ৩ফসলি জমি নেওয়া চলবে না।
৬) তিন ফসলি জমির চরিত্র বদল করা চলবে না।
৭) এলাকাকে দূষণ মুক্ত রাখতে হবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন খড়গপুর গ্ৰামীণ কৃষি জমি জীবিকা রক্ষা সংগঠনের পক্ষ থেকে নেপাল সিং, রনজিৎ বাঁকুড়া সহ খড়গপুর শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক অনিল দাস সহ অন্যান্যরা। মহকুমা শাসক বিষয়গুলি ধৈর্যের সঙ্গে শুনে বলেন--যাদের জমি ভিতরে নিয়েছে, সকলকে ব্যক্তিগতভাবে লিখিত আবেদন করতে। পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে তিনি কোম্পানির বাইরে পুকুর করার নির্দেশ দেবেন। এবং মন্দির নিয়ে কি করা যায় কোম্পানি কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন।