মহিলা সংক্রান্ত ঘটনায় ,সুশান্ত ঘোষ জেলা সম্পাদকের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিল!
নিজস্ব প্রতিবেদন : সিপিএমের জেলা সম্পাদক পদ থেকে সরানো হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে । রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন জেলা সম্পাদক পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন সিপিআইএমের জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক বিজয় পাল ।সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ৷ শুক্রবারই রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্ত এসে পৌঁছয় জেলায় । যদিও সুশান্ত ঘোষের দাবি, স্ত্রীর অসুস্থতার কারণ জানিয়ে আপাতত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন তিনি । সব মিলিয়ে জেলা সম্মেলনের আগেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ।এই বিষয়ে সুশান্ত ঘোষের দাবি, বর্তমানে যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি বিষয়টা জানেন এবং তিনিই যা বলার বলবেন ৷ এই বিষয়ে তাঁর কিছু বলার নেই ৷ যদিও অন্যদিকে নতুন দায়িত্ব পাওয়া জেলা সম্পাদক বিজয় পালের বক্তব্য, রাজ্য কমিটি চেয়েছে তাই তাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে । তাছাড়াও তিনি দল থেকে অব্যাহতি জন্য আবেদন করেছিলেন তা গৃহীত হয়েছে । এছাড়াও রাজ্য কমিটিতে অভিযোগ জমা পড়েছিল ৷ তা খতিয়ে দেখে খোদ রাজ্য কমিটিই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ ভাইরাল ভিডিয়োর বিষয়টি শুনলেও পুরোটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন ৷
প্রসঙ্গত, বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খাটতে হয়েছে সুশান্ত ঘোষকে। বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে প্রথমে রাজ্য পুলিশ ও পরে সিআইডি তদন্ত নামে। তদন্তে ২০১১ সালের ৫ জুন বেনাচাপড়ায় কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। তাতেই নাম জড়ায় সুশান্ত ঘোষের। মাস দুয়েক পর ১১ অগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের বছর ৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় না ঢোকার শর্তে সুশান্তের জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। জেল থেকে বেরোনোর পর ২০২১ সালে সুশান্তের কামব্যাক হয় জেলা কমিটিতে। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলার সঙ্গে বছরের পর বছর সহবাসের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। ওই মহিলা দলের রাজ্য সম্পাদকের কাছে তাঁদের সম্পর্কের সমস্ত প্রমাণ-সহ লিখিত অভিযোগ করেন। শুরু হয়েছে তদন্ত।