প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গ!

নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড়ি এলাকায় নেমেছে ধস। ভেঙে পড়েছে ব্রিজ। বন্যার আশঙ্কা রয়েছে উত্তরবঙ্গের সমতল এলাকায়। মহানন্দার বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রাম। ফুঁসছেে তোর্সাও। দার্জিলিঙে ধস নেমে কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে অসংখ্য রাস্তা ও সেতু। ভয়াবহ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। তার জেরে উত্তরবঙ্গের একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে? আংশিকভাবে বাতিল করা হয়েছে কোন কোন ট্রেন? কোন কোন রাস্তা বন্ধ আছে?

কোন কোন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে?
১) তিস্তার জল এবং ধসের কারণে আপাতত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
২) দুধিয়ায় ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার ফলে শিলিগুড়ি-মিরিক সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
৩) ধস নেমেছে। সেজন্য আপাতত শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রোহিণী রোড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
৪) দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের সরাসরি যোগাযোগ আপাতত বন্ধ করা আছে।
৫) একইভাবে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিমের মধ্যেও সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে।
৬) হিলকার্ট রোডে আপাতত ধস সরানোর কাজ চলছে।

কোন কোন রাস্তা খোলা আছে?
১) নল, লোহাগড় হয়ে মিরিক বা সৌরেণী থেকে শিলিগুড়িতে আসা যাচ্ছে।
২) শিলিগুড়ি-কালিম্পং পানবু রোড খোলা আছে।
৩) খোলা আছে পাঙ্খাবাড়ি রোডও।
৪) মংপু হয়ে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার যে রাস্তা আছে, সেটাও খোলা আছে আপাতত।
৫) গরুবাথান-লাভা রোডও আপাতত সচল আছে। সেখানে ধস নেমেছিল।

টানা বৃষ্টির ফলে দার্জিলিং-শিলিগুড়ি রোড (হিলকার্ট রোড)-এ দিলারাম ও হইসটেল খোলা (কার্শিয়াং) এলাকায় বড় ধস নেমেছে। অন্যদিকে, রোহিনী রোডের অবস্থাও ভয়াবহ, একাধিক জায়গায় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ।এছাড়াও দুধিয়া সেতুতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে আশেপাশের একাধিক গ্রাম এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

একইসঙ্গে পুলবাজার সেতুও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, ফলে থানালাইন ও বিজনবাড়ি এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।