বড়ু চণ্ডীদাসের মাটিতে একই মঞ্চে আওয়াজ উঠলো ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের নির্যাতিতদের জাস্টিস দেওয়ার দাবীতে!
নিজস্ব সংবাদাতা: ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চের কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে আজ বাঁকুড়ায় বড়ু চণ্ডীদাসের আরাধ্যা দেবী মা বাঁশুলির মন্দিরে মঞ্চের সদস্যরা দেবী মায়ের পূজা দিয়ে একই সাথে দাবী তুললেন ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, হেঁতাল পারেখ এবং বাংলাদেশের নির্যাতিতদের জাস্টিস দেওয়ার দাবীতে। ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য মানুষের বিশ্বাস এবং তথ্য প্রমাণ বলছে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় নির্দোষ ছিলেন। আসল অপরাধীকে আড়াল করার জন্য দরিদ্র পুরোহিত ঘরের সন্তান ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ধনঞ্জয়ের আত্মা জাস্টিস পায়নি। এমনকি আসল অপরাধীকে আড়াল করার জন্য হেঁতাল পারেখের আত্মাও জাস্টিস পায়নি। শুধু তাই নয় ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় আসল অপরাধী না হলে ফাঁসুরে নাটা মল্লিককে দিয়ে সিস্টেম খুন করিয়েছে। এই অবিচার আসলে ধর্ষকের বিচার নয় বিচারের ধর্ষণ হয়েছে বলে মানুষের বিশ্বাস। সেই সময় প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য হয়ত অর্থ বা অন্যকিছুর কাছে বিক্রি হয়ে আদালতের বাইরে আরেকটি আদালত বসিয়ে মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে একটি গণহিস্টিরিয়া তৈরি করে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি নিশ্চিত করেন । আমাদের বিশ্বাস সেদিনের সেই হতভাগ্য ধনঞ্জয় আর আজ বাংলাদেশে নরপিশাচদের দ্বারা গণহত্যা হওয়া হতভাগ্য হিন্দু ও মডারেট মুসলমানরা প্রত্যেকেই বিচারের নামে প্রহসনের শিকার । আসলে আমাদের মঞ্চের উদ্দেশ্য মুখ্যত যেমন ধনঞ্জয় বাবু, ওনার পরিবার এবং বাঁকুড়া অঞ্চলের মানুষদের কলঙ্কমোচন করা । কিন্তু তার চেয়েও আমাদের বড় লক্ষ্য একটি ত্রুটিহীন বিচার ব্যবস্থা এবং অপরাধহীন সমাজ ব্যবস্থা স্থাপন করা । মঞ্চের কো-কনভেনর সমাজসেবী জীবন চক্রবর্তী বলেন সেই সময় আমরা ছাতনা নাগরিক কমিটির হয়ে অনেক চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু সেই সময় সিপিএম সরকার আমাদের কলকাতাতে ঢুকতে দেয়নি । আজ আমরা ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছি ধনঞ্জয় তথা পৃথিবীর সমস্ত আর্ত পীড়িত মানুষকে এই ন্যায়বিচার মঞ্চের মাধ্যমে জাস্টিস পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে । মঞ্চের আইনী উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট দীনেশ পানি বলেন আমরা বিচারের পুনর্বিচার চাইছি বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য নয় বরং আগামীদিনে আইন ব্যবস্থা কাউকে মৃত্যুদণ্ডের মত সাজা দেওয়ার আগে যাতে সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিহীন হয় সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য । অনামিকা মন্ডল বলেন সেদিনের ধনঞ্জয়ের মত আজ বাংলাদেশে প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে । আমাদের মঞ্চ সেই মানুষগুলোর জন্যও নিঃশুল্ক ভাবে কাজ করছে । আজ মঞ্চের পক্ষ থেকে কার্তিক মাইতি, দুর্গাদাস চট্টোপাধ্যায়, অনিলবরণ ঘোষ, ভগবতী প্রসাদ বাজোরিয়া, প্রমোদ সিট এবং অশোক বিদ এর মতো নেতৃত্ব বক্তব্য রাখেন ।