ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে কলম ধরলেন অমিতাভ বচ্চন!

নিজস্ব সংবাদদাতা :  সোমবার সকাল থেকেই আচমকা বলিউডের আকাশে ঘনিয়ে এল কালমেঘ। প্রয়াত ধর্মেন্দ্র! পরিবারের তরফে বিবৃতি প্রকাশ না করা হলেও মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশানে এদিন কড়া নিরাপত্তা সঙ্গে খান-কাপুর, বচ্চনদের উপস্থিতিতে কিংবদন্তি অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ‘বীরু’কে আলবিদা জানাতে ছেলে অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে তড়িঘড়ি শ্মশানে পৌঁছেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। আমির খান, সলমন খান,জ্যাকি শ্রফ, অনিল কাপুর, সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দা থেকে শুরু করে প্রবীণ অভিনেত্রী সায়রা বানু, শাবানা আজমিরা ও ছুটে আসেন ধর্মেন্দ্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। শেষকৃত্যে বলিউড সেলেবদের জমায়েতের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিধ্বস্ত দেওল পরিবারের পাশে থাকতে বিকেল নাগাদ ভিলে পার্লে শ্মশানে পৌঁছন শাহরুখ খানও।তাঁর মৃত্যুতে সমগ্র দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করছে শোকের আবহ। এদিকে, কিংবদন্তি এই অভিনেতার প্রয়াণে মন খারাপ ক্রিকেট বিশ্বেরও। তাঁর অভিনীত ‘শোলে’ ছবিটি এখনও পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, সচিন তেন্ডুলকার থেকে শুরু করে যুবরাজ সিং, হরভজন সিং, বিরাট কোহলি সহ সুরেশ রায়নার মতো ভারতীয় ক্রিকেটাররা এই বর্ষীয়ান অভিনেতার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন।

সোমবার গভীর রাতের ব্লগ পোস্টে বীরুর সঙ্গে ‘ইয়ে দোস্তি’র স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে অমিতাভের লেখা প্রতিটা ছত্রে সেই ব্যথাই যেন বার বার ফিরে ফিরে এল। ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে কলম ধরলেন অমিতাভ। লিখলেন, “আরেকজন বীরবিক্রম আমাদের ছেড়ে চলে গেল। এই মঞ্চ ছেড়ে চলে গেল।

এক অসহ্য নীরবতা দিয়ে গেলে ধর্মজি। তুমি মহত্ত্বের প্রতীক। শুধু শারীরিক উপস্থিতি নয়, বড় মনের অধিকারী ধর্মজির সরলতা বারবার মুগ্ধ করেছে আমাদের। কালের নিয়মে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও বহু বদল এসেছে কিন্তু ধর্মেন্দ্র চিরন্তন। ওঁর নম্র ব্যক্তিত্ব, সারল্য, চার্ম কোনওদিন বদলে যেতে দেখিনি। পাঞ্জাবের ভূমিপুত্র হিসেবে যে মাটির স্বাদ নিয়ে এসেছিলেন চিরকাল সেটাই বজায় রেখেছেন।

গত কয়েক দশকে সিনেইন্ডাস্ট্রি অনেক পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে, সৌভ্রাতৃত্ববোধও বদলেছে কিন্তু ধর্মেন্দ্রর গৌরবময় ফিল্মি আখ্যানজুড়ে সেই মাটির গন্ধ রয়ে গিয়েছে। এমন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, চার্মিং ন্যাচার, বড় মন এই পেশায় খুবই বিরল। অমিতাভ তাঁর লেখার শেষে জানান, “আমাদের চারপাশে যেন বাতাস শূন্য হয়ে যাচ্ছে। এক এমন শূন্যতা, যা কখনও পূরণ হবে না।” প্রার্থনা রইল।”