"ভক্ত দাঁড়াবেন তাঁর ঈশ্বরের সামনে"-মেসি দর্শনের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে! ইছাপুরের শিবশঙ্করের জীবনে অলৌকিক মুহূর্ত আনছেন শতদ্রু দত্ত...

ইছাপুরের শিবশঙ্কর পাত্র— নামটা এখন শুধু এক ভক্তের নয়, এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া তাঁর মেসি-আরাধনা এবার বাস্তব রূপ নিতে চলেছে। দীর্ঘ ১৪ বছরের অবিরাম অপেক্ষা, প্রার্থনা আর ভালোবাসা অবশেষে তাঁকে পৌঁছে দিচ্ছে তাঁর প্রিয় ঈশ্বর লিওনেল মেসির সামনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে ইছাপুরের শিবশঙ্কর পাত্রের। যাঁর জীবনের একটাই স্বপ্ন — একবার চোখের সামনে দেখা লিওনেল মেসিকে। সেই স্বপ্ন এবার পূরণ হতে চলেছে শতদ্রু দত্তর হাত ধরে। ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়েছিল তাঁর মেসি আরাধনা। ঘরে মেসির ছবি, মূর্তি, পতাকা— সবই সাজানো থাকে যেন কোনও মন্দির। মেসি গোল করলে যেমন আনন্দের হুল্লোড় পড়ে যায়, তেমনই হারলে যেন ঘরে শোকের ছায়া। বাইপাস সার্জারির পরও থামেননি তিনি— হাসপাতালের বিছানাতেও পালন করেছেন মেসির জন্মদিন! এখন সেই ভক্তের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। শতদ্রু দত্ত — যিনি কলকাতা ময়দানের পরিচিত মুখ ও মেসির সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছেন, তিনিই এবার এই অনন্য সাক্ষাতের সেতুবন্ধন করছেন। জানা গিয়েছে, মেসি যখন পরেরবার ভারতে সফরে আসবেন, তখন ইছাপুরের শিবশঙ্কর পাত্রকে সরাসরি তাঁর সামনে হাজির করবেন শতদ্রু। প্রতিবেশীরা বলছেন, “শিবশঙ্করদা তো মেসিকে ভগবান মনে করেন। উনি যদি সত্যি মেসির সঙ্গে দেখা করতে পারেন, সেটা আমাদের সবার গর্ব।”

শিবশঙ্করবাবুর কথায়, “আমি যদি মেসিকে একবার ছুঁতে পারি, তবে মনে হবে আমার জীবন সার্থক। আমি আর কিছু চাই না।” মেসি-ভক্তদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক আবেগঘন গল্প। মেদিনীপুর থেকে ইছাপুর— এক ছোট শহরের মানুষ ও তাঁর ঈশ্বরের গল্প এখন সারা বাংলার হৃদয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে। শতদ্রুর এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, সত্যিকারের ভালোবাসা আর বিশ্বাস থাকলে স্বপ্নও একদিন বাস্তব হয়।