ভোটে পরাজিত হয়ে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে শুভেন্দুর জেলায় দিলীপ,প্রকট হয়েছে জেলার বিজেপির দুই গোষ্ঠীর দড়ি টানাটানি!

পূর্ব মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : বরাবরই আলোচনায় থেকেছে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি MLA শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্কের সমীকরণ। বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ এক সময় ছিলেন MP কিন্তু তাঁর নিজের খাস এলাকা মেদিনীপুর থেকে এ বার তাঁকে লোকসভা ভোটে লড়তে দেওয়া হয়নি। দুর্গাপুর আসনে লড়ে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে বলা যায় ভোট পরবর্তী কার্যক্রমের তালিকায় প্রথমে তাই রেখেছেন পূর্ব মেদিনীপুরকেই। ভোট পরবর্তী সময়ে কর্মীদের চাঙ্গা করার পাশাপাশি মেদিনীপুরে ফের নিজের অস্তিত্ব টের পাওয়ানো এবং হারানো জমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। আবার প্রকট হয়েছে জেলার বিজেপির দুই গোষ্ঠীর দড়ি টানাটানির কথা। রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলায় বিজেপির বিপুল জয়ের পর শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামী বিজেপি নেতাদের দাপট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলত মনোবল বাড়াতেই কোণঠাসা হয়ে যাওয়া নিজের অনুগামীদের জন্য এই জায়গাকে বেছে নিয়েছেন দিলীপ। তাই গত মঙ্গলবার তিনি এগরা এলাকায় নিজের অনুগামী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে চা-চক্রে মিলিত হয়েছিলেন। আর বুধবার তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বুড়ারি বাজার এলাকায় একটি বেসরকারি অতিথিশালায় নিজের অনুগামী বিজেপির নেতাদের সঙ্গে দিলীপ বৈঠক করেছেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে এ দিন বৈঠকে বিজেপির জেলা সভাপতি-সহ দলের বর্তমান জেলা নেতৃত্বের কেউ ডাক পাননি বলে অভিযোগ। বুধবারের বৈঠকে ছিলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ মাইতি, প্রাক্তন জেলা সাধারন সম্পাদিকা তথা বর্তমানে দলের মহিলা মোর্চার রাজ্য সম্পাদিকা শুভ্রা দাস সহ বিভিন্ন মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি সহ পদাধিকারী নেতা-কর্মীরা পরে নারায়ণ মাইতি বলেন, ‘‘দিলীপদা জেলায় এসেছিলেন। দিঘা থেকে যাওয়ার পথে আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের অনেক পুরনো নেতা-কর্মী যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে উনি দেখা করেছেন ও সৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেছেন। কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’’ জেলায় দিলীপ ঘোষ এলেও তাঁদের ডাকা হয়নি এবং জানানো হয়নি বলে দাবি করেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিজেপি নেতা ও দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক বামদেব গুছাইত। তাঁর কথায়, ‘‘দিলীপদা আমাদের জেলায় এসেছিলেন বলে জেনেছি। দিঘার দিক থেকে ফেরার পথে আমাদের দলের কিছু নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে দলের একজন নেতা হিসেবেই সাংগঠনিকভাবে দলের জেলা সভাপতিকে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু জানাননি। আমরা বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’