বর্তমান পদ্মশিবির নেতৃত্বের ‘দক্ষতা’ নিয়েই তুলেছেন প্রশ্ন , দলীয় বৈঠকে আবার বেফাঁস দিলীপ!
নিজস্ব সংবাদদাতা : ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে ১৮টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু এ বারের ভোটে বিজেপির আসন কমে হয়েছে মাত্র ১২টি। আসলে বর্তমান পদ্মশিবির নেতৃত্বের ‘দক্ষতা’ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ। বাঁকুড়ায় বিজেপির জেলা কর্মসমিতির বৈঠকে একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি, লোকসভা ভোটে বিজেপির পর্যুদস্ত হওয়া এবং নিজেও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে হারার পর থেকেই রাজ্য নেতৃত্বকে বিঁধেছেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। রাজ্যে নেতৃত্বের সঙ্গে দিলীপের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল লোকসভা ভোটের পর থেকেই । ভোটের পর রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে পরবর্তী দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কিছু না জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন দিলীপ। বলেছিলেন, এ ভাবে চলতে থাকলে প্রয়োজনে রাজনীতিই ছেড়ে দেবেন। তবে এ সবের মধ্যেও দলীয় কোনও নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও দেখা করছিলেন বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যাচ্ছিলেন বিভিন্ন জেলায়।করছিলেন ,বিতর্কিত মন্তব্য যা নিয়ে বিস্তর টানাপড়েনও চলেছে দলে। নির্বাচনে হারার পর এই প্রথম বার দলীয় নির্দেশে বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে বিজেপির কার্যকারিণীর বৈঠকে গেলেন দিলীপ ঘোষ। বৈঠকে দলীয় নেতা-কর্মীদের বলেন, ‘‘২০২১ সালের নির্বাচনে আমাদের ৭৭টি আসন পেয়েছিলাম। আশা করেছিলাম, আমরা ১০০-র বেশি আসন পাব। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ ও সরকারি কর্মচারীরাও তা-ই ভেবেছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। কারণ, আমরা সংগঠন জানি। আন্দোলন করতে জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না। প্রতিটি নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের ভোট করাতে শিখতে হবে।’’ পদাধিকারীদের উদ্দেশেও দিলীপ বলেন, ‘‘দলে এসেছি, একটা পদ পেয়েছি, দল ডেকেছে তাই কর্মসূচিতে আসছি-যাচ্ছি। বিজেপিতে এ রকম করলে হবে না। বিজেপি একটা আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে চলে। আবার অন্যদিকে দলের অন্দরে অনেকের মত, দিলীপের কথা মতো যদি ধরে নেওয়া হয় যে, বর্তমান নেতৃত্ব অদূরদর্শিতার জন্য, রাজ্যে বিজেপির আসন কমেছে , তা হলে দিলীপ নিজে কেন জিততে পারলেন না? তিনি তো রাজ্য সভাপতি ছিলেন। হাতের তালুর মতো চেনেন-জানেন সব কিছু। তার পরেও তিনি হারলেন কেন? বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘এই বক্তব্য দিলীপদার। তাই এটা নিয়ে আমি কী বলব? উনি দীর্ঘ দিনের রাজনীতিবিদ। কিসের প্রেক্ষিতে উনি এ কথা বলেছেন, তা আমি বলতে পারব না।’’