পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার শিলাবতী নদীর জল বেড়ে যাওয়ার কারণে জলমগ্ন একাধিক গ্রাম!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : দুই দিনের অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার শিলাবতী নদীর জল বেড়ে যাওয়ার কারণে জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, কার্যত বন্যার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে, সিমলাপালের ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের শিলাবতী নদীর সেতুর উপর জল প্রবাহিত হয়েছে মেদিনীপুর বাঁকুড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পর থেকেই এলাকায় বিদ্যুৎ নেই , অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তারের উপরে এসে পড়ে গাছের ডাল। সেই সব লাইনে ইতিমধ্যে বণ্টন সংস্থার কর্মীরা মেরামতির কাজ করছেন।

সেতু ডুবে যাওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে গ্রামবাসীরা। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে গ্রামবাসীরা। জলমগ্ন র ফলে খাল বিল, জমি জলে ভরে উঠেছে। স্মৃতির পাতায় ১৯৭৮সালের বন্যার পরে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি আর কখনো দেখা যায়নি,এই দুদিনের বৃষ্টিতে গড়বেতায় ১৯৭৮ সালের বন্যা থেকেও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে গ্রামবাসীদের দাবি পরিস্থিতি দেখে।ভেঙে পড়েছে মাটির ঘর,ইতিমধ্যেই কয়েকশো কৃষি জমি জলের তলায় যার ফলে চিন্তায় মাথায় ভাঁজ পড়েছে এলাকার চাষীদের।

বিপদগ্রস্ত মানুষদেরকে উদ্ধার করে নিকটস্থল নিরাপত্তা আশ্রয় দেওয়া হয়েছে,সেখানে আবার চিকিৎসা ও প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি জন্য প্রশাসনের দিক থেকে নামানো হলো SDRF ও সিভিল ডিফেন্স টিমকে। স্পিড বোর্ডের মাধ্যমে নিরাপত্তা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদেরকে।ঘটনাস্থলে খতিয়ে দেখছেন মেদিনীপুর সদর মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জি।এর মধ্যে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় বৃষ্টির পরিমাণ ১৪২.৬ মিলিমিটার। যার জেরে বুধবার থেকেই ফুঁসতে শুরু করে বাঁকুড়ার উপর দিয়ে যাওয়া থাকা দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতী, কংসাবতী, ভৈরোবাঁকি-সহ বিভিন্ন নদী।এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করছেন। এছাড়া গড়বেতার বিধায়িকা উত্তরা সিংহ হাজরা, এলাকার মানুষদের কাছে সমস্ত রকমের সহযোগিতা ও শুকনো খাবার তুলে দেন।