বাঙ্গুর এভিনিউ রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ৭০ তম দুর্গাপুজো উদযাপন!
নিজস্ব সংবাদদাতা : বাঙ্গুর এভিনিউ রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের এবছর ৭০তম দুর্গাপুজো উদযাপন করতে চলেছে । প্রতিবছরই মত বাঙ্গুর এভিনিউ রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নিত্যনতুন থিমের মধ্য দিয়ে শহরবাসীকে চমক দিয়ে থাকে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই পূজো থিমের জোয়ারে না ভেসে সাবেকি ভাবেই সম্পন্ন হয়।পূজোর সাধারণ সম্পাদক শ্রী দীপালোক দও জানালেন এই পূজোর বেশীর ভাগটা জুড়েই মহিলারা থাকেন।চাঁদা তোলা,ঠাকুর আনা,পূজোর জোগাড়,বিসর্জন সবেতেই মহিলাদেরই প্রাধান্য।থিমের জায়গায় ওরা ভাবনাকে বেশী গুরুত্ব দেন।এবারের ভাবনা মায়ের বোধন নারী শক্তির হাতে। মহালয়ার দিন বসে আঁকো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দুর্গোৎসবের সূচনা হবে। চতুর্থীর দিন বিকেলে মহিলাদের হাতে মায়ের চক্ষুদান সম্পন্ন হবে।সেদিনই প্রায় ১০০জন মহিলার হাতে কমিটির পক্ষ থেকে নতুন শাড়ি তুলে দেওয়া হবে। কলকাতার রাজপথ থেকে সর্বত্রই আওয়াজ উঠেছে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’। এবার তিলোত্তমার জন্য প্রতিবাদ শোনা এবং দেখা যাবে দুর্গাপুজোর মণ্ডপেও মণ্ডপেও। তিলোওমার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবার বাঙ্গুর এভিনিউ রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যাপার প্রায় নেই বললেই চলে।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে এবার বৃদ্ধাশ্রম,অনাথ আশ্রম,ব্লাইন্ড স্কুলের আবাসিকদের এবং অটিস্টিক বাচ্ছাদের নতুন জামা কাপড় ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং অর্থ সাহায্য তুলে দেওয়া হবে। এবারের প্রতিমা শিল্পী মোহন বাঁশি রুদ্রপাল এ্যান্ড সনস্।জমিদার বাড়ির আদলে তৈরী প্যান্ডেলের নির্মাতা শ্যামাশ্রী ডেকরেটরস। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ক’দিন ধরে স্লোগান উঠেছে, ‘উৎসবে না’। পুজো কমিটিগুলি অবশ্য চাইছে, উৎসব হোক, সঙ্গে বিচারের দাবিও থাক।