বুধবার দুর্গাপুর নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে আরজি করের ডাক্তাররা বিচার পেতে আলোর পথে নামে একটি কর্মসূচি পালন করলো!
নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্য ও দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে তিলোত্তমার নৃশংস মৃত্যুর প্রতিবাদে সুবিচারের আন্দোলন। এরপর ভিলোত্তমার নৃশংস হত্যা ও পাশবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে একের পর এক প্রতিবাদ সংঘটিত হচ্ছে সর্বত্র। বুধবার বিকেল পাঁচটায় ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এর দুর্গাপুর শাখা ও আমরা তিলোত্তমা র দুর্গাপুর শাখার সদস্যারা তিলোত্তমার অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিচার চেয়ে সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দান থেকে জংশন মল অবধি এক মানব বন্ধন ও পদযাত্রার আয়োজন করেন। এই পদযাত্রা চতুরঙ্গ ময়দান থেকে শুরু হয়ে ডি এম সি মোড় হয়ে সুহট্ট মলের পাশ দিয়ে ডাংশন মল অবধি যায় ও সেখানে একটি প্রতিবাদমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আই এম এর দুর্গাশাখার প্রধান ডাক্তার নীলাদ্রি সেন, ডাঃ শর্মিষ্ঠা দাস, আমরা তিলোত্তমার শ্রীমতী দেবযানী বোস সহ দুর্গাপুর, রাণীগঞ্জ, আসানসোলের চিকিৎসকগণ, স্বাস্থ্য কর্মী ও বিভিন্ন বিদ্যালয় সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই পদযাত্রা ও মানব বন্ধনে অংশ নেন। আই এম এ র পক্ষ থেকে ডাক্তার নীলাদ্রি সেন রাত নটা থেকে দশটা পর্যন্ত প্রত্যেককে পাড়ায় পাড়ায়, তিলোত্তমার নৃশংস হত্যার বিচার চেয়ে বাড়ির আলো নিভিয়ে রাস্তায় মোমবাতি জ্বালিয়ে মানব বন্ধন করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে চিকিৎসক তিলোত্তমার এ ঘটনা নাড়া দিয়েছে। তিনি বলেন সাধারণ মানুষ হিসেবে যখন পথে নেমেছি তখন যতদিন না পর্যন্ত তিলোতমা বিচার না পাবে ততদিন পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকবো। আমরা তিলোত্তমার দুর্গাপুরের মুখপাত্র ডি আই সি ভি র অধ্যক্ষ দেবযানী বোস বলেন তিলোত্তমা সঠিক সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।দুর্গাপুর নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে এদিন জাংশন মলের সামনে মানব বন্ধন সেতু তৈরি করা হয়। হাতে মোমবাতি নিয়ে তাঁরা তিলোত্তমার নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানান। দুর্গাপুর নাগরিক মঞ্চের সদস্য সোমেন রাউত সকল দুর্গাপুরবাসীকে এই প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহয়ান জানান। প্রতিবাদমূলক অনুষ্ঠানের শেষে রাত নটায় সব আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে তিলোত্তমার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পাশাপাশি এদিন রাত ১০টা থেকে চন্ডিদাস খোলা মার্কেটেও আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে রাত দখল কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল, যেখানে জমায়েত হয়েছিলেন এই শহরের সাংস্কৃতিক কর্মী ও মহিলারা। চিত্রশিল্পীরা ছবি এঁকে নীরব প্রতিবাদ জানান।