তরুণ রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিক্ষক সুবল সোরেনের মৃত্যুর প্রতিবাদে ৮ জন শিক্ষককে গ্রেপ্তারের অভিযোগ!

নিজস্ব সংবাদদাতা : ভারত যখন তার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে, যখন দেশজুড়ে পতাকা উড়ছে এবং জাতীয় সঙ্গীত বাজছে, তখন রাজ্য সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি এবং পরবর্তী পরিস্থিতির মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে সুবল সোরেন নিজেকে বিশ্বের সমস্ত বন্ধন থেকে মুক্ত করে স্বাধীন করলেন । শুক্রবার সকালে আর এন টেগোর হাসপাতালে মৃত্যু হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাসিন্দা সুবল সোরেনের। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের বৌলাসিণী বিবেকানন্দ উচ্চতর বিদ্যালয়ের একাদশ-দ্বাদশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। পরিবারের বক্তব্য়, চাকরি বাতিলের পর থেকেই তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন সুবল সোরেন। আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন মিলবে। তারপর কী হবে, এই চিন্তা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল চাকরিহারা এই শিক্ষককে। এরইমধ্যে ধীরে ধীরে তাঁর শরীর খারাপ হতে শুরু করে। গত সোমবার স্ট্রোক হয়।  তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। সুবল সোরেনের মৃত্যুর প্রতিবাদে ৮ জন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের অন্যতম নেতা বলেন, ‘সরকার, বিচারব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র চক্রান্ত করে হত্যা করেছে সুবলকে। ভারত যখন তার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে, আমরাই পরাধীন।

৮ জন শিক্ষক হলো গণেশ হেমব্রম ,কিশূন বেসরা, সত্য প্রভাত মান্ডি, কৃষ্ণ গোপাল চক্রবর্তী, যোগ্য শিক্ষক, দীপঙ্কর মাইতি,কিংকর অধিকারী,অভিজিৎ গিরি, দুলাল সরেন

গণেশ হেমব্রম ,কিশূন বেসরা, সত্য প্রভাত মান্ডি, কৃষ্ণ গোপাল চক্রবর্তী, যোগ্য শিক্ষক, দীপঙ্কর মাইতি,কিংকর অধিকারী,অভিজিৎ গিরি, দুলাল সরেন। তারপর রাত দুটো নাগাদ ছাড়া হয় তাদের।সুবলের বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী এবং দুই বছরের শিশুকন্যা। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। সুবলের স্ত্রী সন্ধ্যা সোরেন কান্না জড়ানো গলায় বলেন, ‘আমার স্বামী যোগ্য শিক্ষক। ও বার বার বলত, আর চাপ নিতে পারছে না। চাকরি যাওয়ার চাপ ও মেনে নিতে পারেনি।