ঝাড়গ্রামে অন্তঃসত্তা হাতিকে নৃশংসভাবে হত্যার বিরুদ্ধে কলকাতায় প্রতিবাদ জানালেন পরিবেশ প্রেমীরা!

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিগত ১৫ ই আগস্ট হাতির হানায় ঝাড়গ্রামে একজনের মৃত্যু হয় এবং ওই দিন হাতি তাড়ানোর নামে হাতির ওপর আক্রমণ করে। বনদপ্তরের কর্মীরা ,কোন নিয়ম না মেনেই অপরিকল্পিতভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় । অন্তঃসত্ত্বা হাতিটিকে,চিকিৎসা চলাকালীন তার পরের দিন অর্থাৎ ১৬ আগস্টে মৃত্যু হয় হাতিটির এই সময় চলা চিকিৎসা প্রক্রিয়া এবং তার পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। এই ঘটনায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হলে মানিকপাড়া রেঞ্জের অন্তর্গত হুলা পার্টির সদস্য ঝাড়গ্রাম থানার রাজবাসা  গ্রামের বাসিন্দা অজয় মাহাতো এবং লাউড়িয়াদাম  গ্রামের বাসিন্দা দীপক মাহাতো গ্রেফতার করা হয়। যদিও ঘটনাস্থলে ফরেস্ট অফিসাররা উপস্থিত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  এবং তাদেরই অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুজনকে গ্রেফতারি করা হয়। তার ফলে এই গ্রেফতার নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছেতুমুল বর্ষণকে উপেক্ষা করে হাতিবাগান স্টার থিয়েটারের সামনে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সভার মাধ্যম দিয়ে পশুপ্রেমীরা দাবি জানান হয়।  এ বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত করে যে বা যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।সঙ্গে সঙ্গে হাতির চিকিৎসা পরিকাঠামোকে উন্নত করতে হবে। প্রতিবাদ সভা থেকে পরিবেশপ্রেমী এবং পশুপ্রেমী মানুষেরা দাবি জানান হাতি ও মানুষের সুরক্ষায় একযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও এই সভার মাধ্যমে দাবি ওঠে ঝাড়গ্রাম জেলায় লাগাতার হাতির হানায় মৃত্যু রুখতে সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা প্রকাশ্যে জানাতে হবে। এর সাথে সাথেই হাতি ও মানুষের সংঘাত রূপে এবং কেন বারবার এই ঘটনা ঘটছে তার মূল্যায়ন করতে কেন্দ্রীয় স্তর এবং রাজ্য স্তরের যৌথ পরিদর্শক দল পাঠানোর দাবি ওঠে সভামঞ্চ থেকে.বন্যপ্রাণী এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিস্তারিত ঘটনাবলী উঠে আসে বক্তাদের আলোচনার মধ্য দিয়ে। আগামী সময় ঝাড়গ্রাম শহরে কনভেনশন করে বৃহত্তর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে জানান সভার আয়োজকরা।