নবান্ন অভিযানে ঝামেলা, পুলিশের উপর হামলা-আদালত অবমাননা-সহ একাধিক অভিযোগে FIR দায়ের বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে!

নিজস্ব সংবাদদাতা: একবছর অতিক্রান্ত আর জি কর কাণ্ডের। অভয়া'র ন্যায়বিচারের দাবিতে শনিবার অরাজনৈতিক ভাবে নির্যাতিতার বাবা-মার ডাকে হয়েছিল নবান্ন অভিযানে মিছিল। কিন্তু ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, অশোক দিন্দ, অগ্নিমিত্রা পালের মতো রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা এই অন্দোলনের পুরো ভাগ নিয়ে নেই। কিন্তু নবান্ন অভিযানে বিক্ষোভকারীরা আক্রমণ চালায় কর্তব্যরত পুলিশ দের উপর। তারই ভিত্তিতে নিউ মার্কেট ও হেয়ার স্ট্রিট থানায় পুলিশের উপর হামলা, হুমকি, আদালত অবমাননা-সহ একাধিক অভিযোগে এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হন ৩ কনস্টেবল। এক আইপিএস পদ মর্যদার অফিসাকেও মারধর করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। উল্লেখ্য,শর্তসাপেক্ষে মিছিলে অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি হাই কোর্টের পরামর্শ ছিল,কোনও সরকারি সম্পত্তি বা পুলিশ আধিকারিকদের ক্ষতিসাধন না করে কর্মসূচি করাই শ্রেয়। কেউ আইন অমান্য করলে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলে নির্দেশ। শুক্রবার ভবানীভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে ছিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার, কলকাতা ও হাওড়ার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং প্রবীণ ত্রিপাঠি যে এখনও পুলিশের কাছে আবেদন জানাননি মিছিলকারীদের কেউ। যদিও এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানান, শান্তিপূর্ণ মিছিলের ক্ষেত্রে পুলিশের কোনও আপত্তি নেই বলেই। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানান, নবান্নের আশেপাশে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। তাই যেকোনও জমায়েত নিষিদ্ধ। মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ড, বঙ্কিম সেতুর নিচে এবং হাওড়া ময়দানে জমায়েত করা যাবে। ৩টি জায়গা মিলিয়ে ১২০০ জন থাকতে পারেন মিছিলে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশমতো বিকল্প জায়গা হিসাবে সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ডকে বেছে দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। সেক্ষেত্রে প্রশাসনও মিছিলকারীদের পূর্ণ সহযোগিতা করবে। তবে কোনও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বাধ্য হবে বলেই জানান পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।

উল্লেখ্য, পার্ক স্ট্রিটে ঝামেলার পরপরই তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, অভয়ার মা-বাবাকে নিয়ে রাজনীতি করেছে বিজেপি।