দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ ভূমিধস, মৃত কমপক্ষে ১৪!
নিজস্ব সংবাদদাতা : ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। সেই অনুযায়ী শনিবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়। যার ফলে পাহাড়ে নেমেছে ভূমিধস। বাঁধ ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে অবরুদ্ধ বিভিন্ন সড়ক। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। উত্তাল তিস্তা, মহানন্দা, জলঢাকা এবং তোর্সা নদী। জলবন্দি কয়েক হাজার পরিবার।কালিম্পংয়ে তিস্তা বাজার নদীর জলের তলায়। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মিরিক ও শিলিগুড়ির সংযোগকারী দুধিয়ায় সেতু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২৯ মাইল এলাকায় বালুওয়াখানি তিস্তার জলে ভাসছে। দার্জিলিং-শিলিগুড়ি হিল কার্ট রোড দিলারামে অবরুদ্ধ হয়েছে। শিলিগুড়ির পোড়াঝাড়ে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভয়ানক রূপ নিয়েছে ফুলবাড়ির মহানন্দা ক্যানেল।
নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন গলগলিয়া এলাকাও প্লাবিত হয়েছে।তোর্সা নদীর জলস্তর ১১৮ মিটার উপর দিয়ে বইছে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। জলপাইগুড়িতে একরাতে ১৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
যা এই বছর রেকর্ড বৃষ্টি। জলপাইগুড়ির মহামায়া পাড়া,পাণ্ডাপাড়া, স্টেশন রোড-সহ একাধিক ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে পড়েছে। ক্লাব রোডে গাছ ভেঙে বিচ্ছিন্ন যাতায়াত। কোচবিহার জেলাজুড়ে ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন অধিকাংশ এলাকা। সব মিলিয়ে জলে ভাসছে উত্তরবঙ্গ।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ‘ল্যান্ডস্লাইড’ বা ভূমিধস মানে পাহাড়ি ঢাল থেকে মাটি, পাথর, ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদির নীচের দিকে সরে যাওয়া।
এটি ঘটে যখন মাটিকে ধরে রাখার 'আঠা' — যেমন গাছের শিকড়, ঢালের কোণ, বা মাটির ঘনত্ব — দুর্বল হয়ে পড়ে। ভারী বৃষ্টির সময় জল মাটির ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং ঘর্ষণ কমিয়ে দেয়, ফলে মাটি সহজেই নীচের দিকে সরে যায়।