" হাতি আতঙ্ক "থেকে বাঁচতে অভিনব পন্থা ঝাড়গ্রাম বন দফতরের,সমস্ত রেঞ্জের জঙ্গলে তৈরি হবে ফলের বাগান,মূললক্ষ্য হাতির খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা!
ঝাড়গ্রাম নিজস্ব সংবাদদাতা : জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রাম। জেলা জুড়ে অন্যতম আতঙ্কের নাম হাতি। এখন প্রায় সারা বছরই হাতির দল থাকে এই জেলায়। সাবাড় করে দিচ্ছে জমির ধান থেকে শুরু করে আনাজ। কখনো আবার চালের বস্তার খোঁজে হানা দিচ্ছে স্কুল,বাড়ির রান্না ঘরে। এই আতঙ্ক থেকে বাঁচতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করল ঝাড়গ্রাম বন দফতর। ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের সমস্ত রেঞ্জে ফলের বাগান তৈরি করে সেই প্রবণতা বদলাতে চাইছে বন দফতর। তাই বন দফতর আগামী দু’বছরে জেলা রেঞ্জে শুধুমাত্র ফলের চারা তৈরির নির্দেশ দিল। এই নার্সারি গুলিতে তৈরি হবে আম,কাঁঠাল,বেল-সহ বিভিন্ন ফলের গাছ চারা। ফলের মধ্যে সব থেকে বেশি লাগানো হবে কাঁঠাল গাছ। মূললক্ষ্য, হাতির খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা। বন দফতরের আশা, হাতির খাদ্যাভাসে বদল এলে এই পরিস্থিতির বদল হবে। বন দফতর সূত্রে খবর, মূলত হাতি যে রুট দিয়ে যাতায়াত করে, যে জঙ্গলে থাকে সেখানে ফলের গাছের চারা লাগানো হবে। প্রথম পর্যায়ে ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে ৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে তৈরি করা হবে ওই ফলের বাগান। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার ফলের চারা গাছ রোপণ করা হবে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ফলের মধ্যে সব থেকে বেশি কাঁঠাল গাছের চারা তৈরি করা হবে। কারণ, হাতি কাঠাল গাছের ফল তথা কাঁঠাল পাতা, ডাল সব কিছুই খায়।’’ ফলের গাছের পাশাপাশি থাকবে জলের ব্যবস্থাও। বন দফতরের দাবি জঙ্গলে খাবার ও জলের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত থাকলে হাতি লোকালয়ে কম ঢুকবে। ঝাড়গ্রামের DFO উমর ইমাম বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবার কম থাকায় হাতি জমিতে গিয়ে ধান ও ফসল বেশি খাচ্ছে। হাতিকে লোকালয় থেকে দূরে রাখতে হলে খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের প্রয়োজন, আম, কাঁঠাল, বেলের মত যে সব ফল হাতি খেতে ভালবাসে সে ধরণের গাছ লাগানো হবে। সেই লক্ষ্যে আগামী দু’বছর ডিভিশনের সমস্ত নার্সারিতে শুধুমাত্র ফলের চারা তৈরি করা হবে"।