ঘাটাল-দাসপুরের গান্ধী মিশনে ভারতরত্ন জয়প্রকাশ নারায়ণের জীবন ও আদর্শকে স্মরনে ও গণতন্ত্র নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা!
নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘বন্দে মাতরম্ সুজলাং সুফলাং মলয়জশীতলাং শস্যশ্যামলাং মাতরম্’।— এই গানের সঙ্গে নাড়ির যোগ রয়েছে প্রতিটি ভারতবাসীর। আজ বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে সারা দেশে। ৭ই নভেম্বর শুক্রবার ঘাটাল-দাসপুরের গান্ধী মিশনে ভারতরত্ন জয়প্রকাশ নারায়ণের জীবন ও আদর্শকে স্মরণ করে বিশেষ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলদা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক তুহিন দাস,নাড়াজল রাজ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা রাজশ্রী দেবনাথ,বিশিষ্ট সাহিত্যিক বিদ্যাসাগর পুরস্কার ও বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু আলোকিতা ফজিলাতুনেচ্ছা সম্মাননা পুরস্কৃত রোশনারা খান, গান্ধী মিশন ট্রাস্টের কর্ণধার নারায়ণ ভট্টাচার্য (নারায়ণ ভাই),তাপস পোড়েল, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বরুণ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ’।
জয় প্রকাশ নারায়ণের সরাসরি অনুগামী শ্রদ্ধেয় নারায়ণ ভাই মহাশয় জয়প্রকাশ নারায়ণের জীবন ও আদর্শ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার সাথে সাথে যাঁর জীবন ও আদর্শ প্রায় অধিকাংশ মানুষের কাছেই আজও প্রায় অপ্রকাশিত থেকে গেছে, যা ইতিহাসের পাতায় সেভাবে বিশেষ করে স্থান পায়নি, সেই সমস্ত দিক তুলে ধরেন যা উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীসহ সমস্ত সদস্যদের অনুপ্রাণিত করেছে।
আজকের সভার মূল আকর্ষণ রোশনারা রোশেনারা খান, যাঁর সারা জীবনটাই সমস্ত মানুষের কাছে একটা একটা আদর্শ এবং দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে তিনি তাঁর শৈশব থেকে নারীজাতির জন্য আন্দোলন’। বিশেষতঃ মুসলিম নারী জাতির প্রতি বঞ্চনা, তাদের সীমাবদ্ধতা, তাদের সমাজে অবস্থান, তাঁর সময় কিভাবে তিনি নিজে অবহেলিত থেকেও সেই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং আজকে তাঁর লেখা ভারতবর্ষ ছাড়িয়েও বিভিন্ন দেশে আজ সমাদৃত হয়েছে আমরা তাঁর কথার মধ্যে দিয়েই সে সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তার সারা জীবনটাই একজন নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য কিভাবে বিবেচিত হওয়া উচিত সেটা তিনি সভায় উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। যা সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
রোশেনারা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান 'বিদ্যাসাগর সম্মান' পেয়েছেন ২০২২ সালে। ২০২৪-এ বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে পেয়েছিলেন 'আলোকিতা ফজিলাতুনেচ্ছা সম্মাননা'।
এ ছাড়াও ছোট-বড় নানা সংস্থা থেকে সম্মানিত ও পুরস্কৃত হয়েছেন তাঁর লড়াইয়ের জন্য। নিজে তথাকথিত 'ডিগ্রি' অর্জন করতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু সমাজের ট্যাবু ভাঙার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই তিনি এগিয়ে। তাই তো এখনও বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা গড়ার প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে এখনও ডাক পান তিনি।
নাড়াজল রাজ কলেজ,ঘাটাল কলেজ ও চাঁইপাট কলেজের বহু ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। বিশেষভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য "citizen for democracy" এবং "democracy for citizen" এই দুইটি বাক্যাংশের উপরেই আলোকপাত করেন এবং দুইটি বিষয়ের তাৎপর্য এবং অর্থের পার্থক্য এবং ভূমিকা তুলে ধরে নাগরিকদের democracy রক্ষারজন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় সবাইকে ।